ফজরের নামাজ আদায় করতে ভোরে ডাকাডাকি করায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষককে পিটিয়ে জখম করেছেন দুই ছাত্র। ভুক্তভোগী শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফির (২৫) অভিযোগ, ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন ও হাফেজ জিহাদ হোসেন তাঁকে পিটিয়ে পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে।
আহত শিক্ষককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছেন।
জানা গেছে, আমতলী কওমিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ডাকাডাকি করেন শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি। এতে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র হাফেজ ইমাম হোসেন (১৯) ও হাফেজ জিহাদ হোসেন (২০) ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে তাঁরা শিক্ষককে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এতে শিক্ষক রাফির কান ছিঁড়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম শিক্ষককে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। অভিযুক্ত হাফেজ ইমাম হোসেনের বাড়ি উপজেলার হলদিয়ার রাওঘা গ্রামে, বাবার নাম মামুন মৃধা। অপরজন জিহাদ হোসেনের বাড়ি পটুয়াখালী উপজেলার আমখোলা গ্রামে। দুজনেই ওই মাদ্রাসা থেকে হাফিজি শেষ করে ষষ্ঠ (নাহবেমীর) শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন।
আহত শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফি বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ইমাম হোসেন ও জিহাদ আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমার পকেটে থাকা ৭ হাজার টাকা ওরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমি ওই ছাত্রদের শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ‘ফজরের নামাজ আদায় করতে ডাকার কারণে শিক্ষক হাফেজ জামিল হোসেন রাফিকে দুই ছাত্র গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জায়েদ আলম ইরাম বলেন, ‘আহত শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
সোমবার দুপুর পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু।