ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘যাঁরা নির্বাচনের জন্য মরিয়া, আমি তাঁদের প্রশ্ন করেছিলাম, আপনারা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গিয়ে কী করবেন? আমরা লক্ষ করেছি, আপনারা আপনাদের দলীয় লোকদের, নেতা-কর্মীদের, সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, সামলাতে পারছেন না। যদি দলই সামলাতে না পারেন, ক্ষমতায় যাওয়ার পরে আপনারা কী কাণ্ড করবেন, তা আমাদের জানা আছে। এ জন্যই নির্বাচনের আগে সংস্কার প্রয়োজন। আর অবশ্যই জাতীয় নির্বাচন হবে স্থানীয় নির্বাচনের পর।’ আজ শনিবার বিকেলে পটুয়াখালী শহরের চৌরাস্তা এলাকায় ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন পটুয়াখালী জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এসব কথা বলেন।
ভারতের ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন করছে, হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে, এমনিক ঘরবাড়ি, মসজিদ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। ৫ আগস্ট যখন দেশে অভ্যুত্থান হলো, যখন মুগ্ধর সেই পানি পানি শব্দ আমাদের কানে ভাসছে, হাজার হাজার মানুষ চোখ হারিয়েছে, পঙ্গুত্ববরণ করেছে, অবশেষে হাসিনা পালিয়ে গেছে, তখনই আমরা ভারতের দুশমনি আন্দাজ করতে পেরেছি। তারা যেন সুযোগ নিতে না পারে, সে জন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তায় পাহারার দায়িত্ব পালন করেছে। কারণ, আমরা বুঝেছি, ভারতীয় শকুনের চোখ বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সুযোগ পেলেই আন্তর্জাতিকভাবে সংখ্যালঘু ইস্যু সামনে নিয়ে আসবে। অথচ শকুনেরা এখনো দুশমনি করেই যাচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক মুহা. আনছার উদ্দীন।