ঝালকাঠিতে ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় এক যুবলীগ কর্মীর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শ্যামল চন্দ্র রায়।
কারাগারে যাওয়া গৃহবধূ নলছিটি উপজেলার যুবলীগ কর্মী মামুন হাওলাদারের স্ত্রী ও পৌরসভার অনুরাগ এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়নের কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধার (৭০) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে নলছিটি থানায় নারী ও নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। পরে ওই বৃদ্ধকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান। কিছু দিন কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন মিন্টু মৃধা। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করেন এবং ডিএনএ পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। আজ দুপুরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় বাদীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুলকাঠি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এইচ এম আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ওরফে টিস্যু চেয়ারম্যানের অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন মিন্টু মৃধা। মিন্টুকে শায়েস্তা করতে যুবলীগ কর্মীর স্ত্রীকে হাড়িখালী মাদ্রাসায় চাকরি, নিজ ভবনে বিনা ভাড়ায় বসবাস ও নগদ ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নলছিটি থানায় মিন্টু মৃধার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করান।
আরও জানা গেছে, ধর্ষণের ঘটনার তারিখ ও সময়ে মিন্টু মৃধা ঝালকাঠি আদালতে ও বিভিন্ন অফিসে কাজে ছিলেন, যা সিসি ক্যামেরা ফুটেজে প্রমাণিত।