বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে বরিশাল বিভাগের সবগুলো নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সর্বশেষ পরিমাপের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে অতি জোয়ারে কীর্তনখোলা নদীর পানি নালা দিয়ে প্রবেশ করে বরিশাল নগরীর প্রধান সড়ক সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে। নগরীর সবগুলো নালা কীর্তনখোলার সঙ্গে যুক্ত।
পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের বিভিন্ন নদীর ১৯টি পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। সর্বশেষ সন্ধ্যা ৬টার পরিমাপ অনুযায়ী সবগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল নগরীসংলগ্ন কীর্তনখোলা ও ঝালকাঠির বিষখালী নদীতে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, বরগুনার বেতাগীর বিষখালীতে ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জসংলগ্ন পায়রা নদীতে ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলাসংলগ্ন মেঘনায় ২৪ সেন্টিমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীতে ৩৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো বরিশালের পানি অনুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। আশা করা যাচ্ছে, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে পানি স্বাভাবিক স্তরে চলে আসবে। পানি বৃদ্ধিতে বেড়িবাঁধ, মাছের ঘের, ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ লঞ্চ চলাচলের পাশাপাশি ঢাকা-বরিশাল নৌপথের বড় লঞ্চ চলাচলও বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই পথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।