বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও এবি পার্টির নেতাসহ ১১ জনের নামে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। মামলায় আরও ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন গতকাল সোমবার লামা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় পর্যটনবিষয়ক সহসম্পাদক এ বি ওয়াহিদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী এরফানুল হককে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মিজবাহ উদ্দিন মিন্টু (৪৮), মো. মহিউদ্দিন (৪০), মুজিবুল হক চৌধুরী (৫০), খাইয়ের উদ্দিন মাস্টার (৫০), শওকত ওসমান (৪০), মিজান, জলিল, আলম মেম্বার ও জহির। তাঁদের অধিকাংশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং ইটভাটার মালিক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে গত রোববার লামা উপজেলার পাগলিছড়া ও ফাইতং এলাকার অবৈধ ইটভাটায় উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজুয়ান উল ইসলাম। এই অভিযানে এবি পার্টির নেতা এ বি ওয়াহিদ ও এনসিপির নেতা এরফানুল হকের নেতৃত্বে ইটভাটা মালিকদের লোকজন বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে অভিযান বন্ধ রেখে তাঁরা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
জানা গেছে, এই অভিযানের সময় এনসিপির নেতা এরফানুল হক ও এবি পার্টির নেতা এ বি ওয়াহিদের নেতৃত্বে অভিযান ঠেকাতে কাফনের কাপড় পরে ইটভাটার মালিকেরা রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদ জানান। বাধা পেয়ে আভিযানিক দল অভিযান না চালিয়ে ফিরে আসে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, অভিযানে অবৈধ তিনটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর আরও কয়েকটি ইটভাটায় অভিযানে গেলে মালিকেরা তাঁদের শ্রমিক দিয়ে বাধা দেন।
এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ বলেন, মামলা হয়েছে, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ২৫টি অবৈধ ইটভাটা রয়েছে।