জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে অবস্থিত গোপীনাথপুর মন্দিরটি গোপীনাথ ঠাকুরের মন্দির নামেও পরিচিত। ৫০০ বছর প্রাচীন এই মন্দিরকে নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে। জানা যায়, ভারতের নদীয়ার শান্তিপুরের বাসিন্দা দুই ভাই সুদেব ও ভূদেব চক্রবর্তী দীক্ষা শেষ করলে তাঁদের গুরু বড় ভাই সুদেব চক্রবর্তীকে নন্দিনীপ্রিয়া নাম দেন এবং নারীর বেশে সাধনা চালিয়ে যেতে বলেন। তাঁকে পাঠানো হয় এই আক্কেলপুরে এবং ছোট ভাই ভূদেবকে জংগলীপ্রিয়া নাম দিয়ে পাঠানো হয় মালদহে। নন্দিনীপ্রিয়া আক্কেলপুরের গোপীনাথপুর গ্রামে গভীর জঙ্গলে এই মন্দিরটি স্থাপন করেন। ১৫ শতকে বাংলার সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ নন্দিনীপ্রিয়ার পূজা-পার্বণ ও অতিথি সেবায় মুগ্ধ হয়ে তাম্রফলকে লিখে ৫ নল বা ১২৯ বিঘা জমি দেবোত্তর হিসেবে দান করেন। এরপর পাল যুগের নির্মাণকৌশল অবলম্বনে সেখানে পূর্ণাঙ্গ মন্দির স্থাপন করা হয়। ১৩০৪ বঙ্গাব্দে ভূমিকম্পে মন্দিরটি ভেঙে যায়। ১৯২৮-১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে বর্তমান মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে মূল ভবনে পুরোনো কিছু নকশাও চোখে পড়ে। প্রতিবছর দোল পূর্ণিমার মেলা হয় এখানে, ৫০০ বছর ধরেই।