হোম > আড্ডা

জসীমউদ্‌দীনের জন্য প্লট

‘তপতী’  লেখার পর থেকে নাটক লেখার নেশা পেয়ে বসেছিল রবীন্দ্রনাথের। জসীমউদ্‌দীন একদিন গেলেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেখা করতে। গ্রামের লোকনাট্য আসমান সিংহের পালার উল্লেখ করলেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘তুমি নাটক লেখো না কেন?’

জসীমউদ্‌দীন বললেন, একটা প্লট যদি দেন, চেষ্টা করতে পারি।’

‘আজ নয়, কাল সকালে এসো।’

পরদিন এসে কবিকে সে কথা মনে করিয়ে দিলেন জসীমউদ্‌দীন।

‘তুমি তো ছাড়বার পাত্র নও! ধরো, তোমাদের পাড়াগাঁয়ের মুসলমান মোড়লের ছেলে কলকাতায় এমএ পড়তে গেছে। বহু বছর বাড়ি যায় না। এমএ পাস করে সে বাড়ি এসেছে। বাবা-মা পুরোনো গ্রাম্যরীতিতে তাকে আদর-যত্ন করল। ছেলে এসব পছন্দ করে না। বলে, আদর করেই তোমরা আমাকে অপমান করেছ।

‘গ্রামের মোড়লের মেয়ের সঙ্গে ছেলেটির বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে কথা বলতেই ছেলে রেগে অস্থির। সে কিছুতেই এই বিয়ে করবে না। গ্রাম্য চাষি কীভাবে তার শ্বশুর হবে?
‘মেয়েটির অন্য জায়গায় বিয়ে পাকা হয়ে গেল। যেদিন পাকা দেখা হবে, সেদিন এমএ পাস ছেলেটা কী কারণে যেন সেই মেয়ের বাড়ি গেছে। ছেলেবেলায় যাকে এক রত্তি দেখেছিল, সে আজ পরিপূর্ণ যুবতী।

বাবা ছেলের অবস্থা দেখে বললেন, গ্রামে থাকা তোর জন্য মুশকিল। এখানকার জলবায়ু ভালো না। তুই কলকাতায় চলে যা।

ছেলে তখন মস্ত বক্তৃতা দিল। কে বলে আমার গ্রাম ভালো লাগে না। ছেলেবেলা থেকে আমি এখানে মানুষ।

বাবা অবাক। জানতে পারলেন, ওই মেয়েটিকে দেখেই ছেলে পাগল। কিন্তু মেয়ের বাবা তো বিয়ের পাকা কথা দিয়েছেন। তিনি কথা বদলাতে রাজি নন।

এটুকু বলে রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘এবার গল্পটাকে তুমি ট্র্যাজেডি করতে পার, কমেডিও করতে পার।’

‘পল্লীবধূ’ নামে নাটকটি লিখেছিলেন জসীমউদ্‌দীন। তবে তা রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর। 

সূত্র: জসীমউদ্‌দীন, ঠাকুরবাড়ির আঙিনায়, পৃষ্ঠা: ১২-১৩

ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি