হোম > আড্ডা

বন্দে আলী মিয়া

সম্পাদকীয়

বন্দে আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

‘আমাদের ছোট গাঁয়ে ছোট ছোট ঘর,/থাকি সেথা সবে মিলে নাহি কেহ পর’—‘আমাদের গ্রাম’, লিখেছেন কবি বন্দে আলী মিয়া—নিশ্চয়ই অনেকের মনে আছে প্রিয় চরণগুলো। শুধু কবিই নয়, বন্দে আলী মিয়ার আরও পরিচয়—ঔপন্যাসিক, শিশুসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিত্রকর।

১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনার রাধানগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি রাধানগর মজুমদার একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ভর্তি হন কলকাতা আর্ট একাডেমিতে। সেখানে পাস করেন প্রথম বিভাগে। ছাত্র অবস্থায় তিনি ‘ইসলাম দর্শন’ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন।

কলকাতা করপোরেশন স্কুলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ ২০ বছর চাকরি করে ১৯৫০ সালে অবসর গ্রহণ করেন বন্দে আলী। দেশভাগের পর প্রথমে ঢাকা বেতারে ও পরে রাজশাহী বেতারে চাকরি করেন।

শিশুসাহিত্যিক হিসেবে তাঁর সুনাম বেশি। ছোটদের জন্য পাঁচটা-দশটা নয়, মোট ১০৫টি বই লিখেছেন! পাশাপাশি কবিতা, উপন্যাস ও নাটক লিখেছেন। তিনি বিভিন্ন গ্রামোফোন কোম্পানির জন্য পালাগান ও নাটিকাও রচনা করেছেন। সেগুলো রেকর্ড আকারে বের হলে বেশ জনপ্রিয়তা পান কবি। এত কিছুর পরেও অবশ্য তিনি খুব একটা সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। তাঁর জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে দারিদ্র্যে। তবে কখনো সাহিত্যচর্চায় আপস করেননি। লিখে গেছেন অবিরাম।

কবি যখন বেতারে কাজ করতেন, তখন ছোটদের জন্য ‘সবুজ মেলা’ এবং ‘ছেলে ঘুমাল’ অনুষ্ঠান দুটি পরিচালনা করতেন। সেসব অনুষ্ঠানের জন্য প্রায়ই নিত্যনতুন গল্প লিখতে হতো তাঁকে। আর এসব করতে করতেই ‘গল্পদাদু’ হিসেবে খ্যাতি পান। তিনি ‘কিশোর পরাগ’ ও ‘জ্ঞানবার্তা’ নামে দুটি শিশু পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।

‘ময়নামতির চর’ কাব্যটি পড়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চ প্রশংসা করে চিঠি লিখেছিলেন তাঁকে। কবিগুরু ওই চিঠির শেষে লিখেছিলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে তুমি আপন বিশেষ স্থানটি অধিকার করতে পেরেছ বলে আমি মনে করি।’

১৯৭৯ সালের ২৭ জুন রাজশাহীতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

কোচির ইহুদি পরিবারের ঐতিহ্য যেভাবে বাঁচিয়ে রাখছেন এক মুসলিম

গাবতলী সেতু বধ্যভূমি

সাহিত্যচর্চা এবং মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট

রমনা কালীবাড়ি বধ্যভূমি

আমাদের অর্জন অনেক

এবার অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা শব্দ ‘রেজ বেইট’—এর অর্থ কী

রাষ্ট্রীয় সংস্কার করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

জল্লাদখানা বধ্যভূমি

সিদলের স্বাদ

লেখকের সামাজিক অঙ্গীকার