বোকার মতো বাংলাদেশকে কপি করেই যাচ্ছেন জোলা বাইডেন। চিকন বুদ্ধির বাঙালি শুরুতেই কিন্তু তাঁর এই চোরামি ধরে ফেলেছে। তবুও থামছেন না তিনি, জি-৭ সম্মেলনে এসে ঘটালেন আরেক কপি কাণ্ড।
কপি কাণ্ডের উদ্বোধন দিয়েই শুরু করি: করোনা সংক্রমণ রোধে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ চালু করে বাংলাদেশ। এর তিন মাস পরে বাইডেন ক্ষমতায় এসেই মহামারিকালের এই যুগান্তকারী উদ্ভাবন খপাৎ করে কপি করে ফেললেন। মেধাস্বত্ব বিধির কোনো তোয়াক্কাই করলেন না! এমন কাণ্ড মানতে পারেননি বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মুরুব্বি বলে ইজ্জত দেখিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও আমেরিকাকে এক হাত নিয়েছেন তিনি। মুখের ওপর হালকা করে বলে দিয়েছেন, ‘হোয়াট বাংলাদেশ থিংকস টুডে, ইউএসএ থিংকস থ্রি মান্থস লেটার!’
এতেও লজ্জার রুমাল ওঠেনি বাইডেনের মুখে। এবার কপি করলেন একটু পেছনের আরেক পাঁজর ভাঙা চতুর কৌশল। তিন দিনব্যাপী জি-৭ সম্মেলন শেষে ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকে নিয়ে চলে যান রানির সুমহান দরবারে। দ্বিতীয় এলিজাবেথের বাড়িতে আধা ঘণ্টা অবস্থান করলেও যে কথাটি বলা হয়নি তা জানালেন বিমানবন্দরে এসে। সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের বললেন, ‘রানি বড় মহীয়সী; তাঁকে দেখে আমার মায়ের কথা মনে পড়েছিল।’ এখানেও চামে মেরে দিলেন বাইডেন। মাত্র ৮২০ দিন আগে এ জাতির নতুন নয়নমণিও এমন কথা বলেছিল।
লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে একের পর এক এমন কপি মেরে জো-জিল চিলে থাকলেও ভেবে ভেবে কোমায় চলে যাচ্ছে বাংলার আমজনতা! সব ভাবনা যেমন-তেমন; মূল ভাবনা একটাই—সামনের ভোটেও না আবার কপি মেরে বসেন জো!