হোম > প্রযুক্তি

চ্যাটজিপিটির ভদ্র ব্যবহারকারীরা ওপেনএআইকে কোটি টাকা খরচ করাচ্ছে!

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

একজন ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যত বেশি কথা বলেন বা যত বেশি শব্দ ব্যবহার করেন, তত বেশি টোকেন খরচ হয়। ছবি: সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার খরচ বিপুল। শুধু বিদ্যুৎ ব্যয় হিসাব করলেও দেখা যায়, ব্যবহারকারীদের অনুরোধ প্রক্রিয়াজাত ও উত্তর প্রদানে বিশ্বজুড়ে এআই ডেটা সেন্টারগুলো বছরে ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ করে। এবার জানা গেল, চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলার শেষে ব্যবহারকারীরা প্লিজ বা ধন্যবাদ জানলেই নাকি ওপেএআইয়ের খরচ হয় কোটি কোটি টাকা! অন্তত এমনই ইঙ্গিত দিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগের টুইটার) একজন ব্যবহারকারী জানতে চান, ভদ্রতা প্রকাশে ব্যবহৃত অতিরিক্ত শব্দ বা বাক্যাংশের কারণে ওপেনএআইয়ের বিদ্যুৎ বিল কতটা বেড়েছে। উত্তরে অল্টম্যান মজার ছলে লেখেন, ‘দশ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ হয়েছে,—আপনি জানেন না ভবিষ্যতে কী কাজে লাগবে!’

এই হালকা রসিকতার পরই শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। টেকক্রাঞ্চ, কোয়ার্টজ, ল্যাপটপ ম্যাগাজিন–এর মতো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো শিরোনাম করে বসে—‘আপনার ভদ্রতাই হতে পারে ওপেনএআইয়ের জন্য ব্যয়বহুল’, ‘প্লিজ’ ও ‘থ্যাংক ইউ’ বলায় ওপেনএআইয়ের ক্ষতি কোটি কোটি ডলার!’ , ‘চ্যাটজিপিটির সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলাই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’

তাদের যুক্তি, একজন ব্যবহারকারী চ্যাটজিপিটির সঙ্গে যত বেশি কথা বলেন বা যত বেশি শব্দ ব্যবহার করেন, তত বেশি টোকেন খরচ হয়। প্রতিটি টোকেন বিশ্লেষণ ও জবাব তৈরি করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কম্পিউটেশনাল শক্তি ও বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। এভাবে যখন লাখ লাখ ব্যবহারকারী একইভাবে ‘ভদ্রতা’ বজায় রেখে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেন, তখন এর পেছনে বিশাল পরিমাণে বিদ্যুৎ ও অর্থ ব্যয় হয়।

তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি এতটা সহজ নয়। প্রথমত, প্রতিটি টোকেনের খরচ খুবই সামান্য। ওপেনএআইয়ের হিসাব অনুযায়ী, জিপিটি ৩.৫ টার্বোর ক্ষেত্রে প্রতি ১ হাজার ইনপুট টোকেনে খরচ হয় প্রায় দশমিক শূন্য শূন্য ১৫ ডলার এবং ১ হাজার আউটপুট টোকেনে খরচ হয় দশমিক শূন্য শূন্য ২ ডলার

তবে ওপেনএআইয়ের মত একটি প্রতিষ্ঠানের লাখো ব্যবহারকারী যদি প্রতিবার ‘প্লিজ’ ও ‘থ্যাংক ইউ’ বলেন, তাহলে সে খরচ নেহাত কম নয়।

তাই স্কেল বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামান্য খরচও বিশাল অঙ্কে পৌঁছাতে পারে। ওপেনএআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে যেখানে প্রতিদিন কোটি কোটি অনুরোধ প্রক্রিয়াজাত করা হয়, সেখানে প্রতিটি বাড়তি শব্দই খরচ বাড়াতে পারে।

স্যাম অল্টম্যানের মন্তব্যটি নিছক রসিকতা হলেও এই আলোচনার মধ্য দিয়ে এআই প্রযুক্তির জন্য বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ শক্তির খরচ ও পরিবেশগত প্রভাবের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি