হোম > প্রযুক্তি

টিকটকের মতো নিষিদ্ধ হতে পারে ডিপসিক

আহসান হাবীব

অস্ট্রেলিয়ার মোবাইল ডিভাইসগুলোতে ডিপসিক পণ্য, অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েব সেবা ব্যবহার বা ইনস্টলেশন করা যাবে না। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে চীনা এআই অ্যাপ ডিপসিক। চ্যাটজিপিটির পর এটি সবচেয়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এর সাফল্য নিয়ে কিছু উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত চীনকে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ হিসেবে দেখার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু সরকারি বিভাগ এর উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। ডিপসিক এখনো পুরোপুরি চালু না হলেও যুক্তরাষ্ট্র এটিকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে।

এ ধরনের সন্দেহের ফলে অতীতে হুয়াওয়ে এবং ক্যাসপারস্কির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এমনকি টিকটককেও একই ধরনের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ডিপসিকও বর্তমানে এমনই এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।

ডিপসিক অ্যাপটি দ্রুতই অ্যাপল অ্যাপস্টোরের শীর্ষে উঠে আসে। এর কাজ করার দক্ষতা, গতি এবং যুক্তি দেওয়া ক্ষমতার জন্য এটি প্রশংসিত হচ্ছে। এটি এমন একটি অ্যাপ, যা কম শক্তিশালী চিপ ব্যবহারের পরেও ভালো ফল দিতে সক্ষম।

এআই প্রযুক্তির উন্নতিতে নিরাপত্তাঝুঁকি নিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, চীনা সরকার এটি ব্যবহার করে এর ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করবে।

ডিপসিকের গোপনীয়তা নীতি অনুযায়ী অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের টেক্সট, ভয়েস মেসেজ, চ্যাট হিস্ট্রি এবং ফিডব্যাক সংগ্রহ করতে পারে।

এ তথ্যগুলো চীনে সংরক্ষণ করা হয়। এর মানে হলো, ব্যবহারকারী যদি এখানে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি এবং অফিসের গোপন তথ্য শেয়ার করেন, তাহলে সেটি চীন সরকারের কাছে চলে যেতে পারে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর গোপন তথ্যও চীনের হাতে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দেশটির অনেকে।

এ ধরনের নিরাপত্তা সমস্যা সাম্প্রতিক সময়ে অনেক দেশই তাদের নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে। যেমন ইউরোপ তাদের নাগরিকদের তথ্য মার্কিন সার্ভারে রাখতে চায় না। ঠিক তেমনি যুক্তরাষ্ট্রও চীনের অ্যাপগুলোতে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।

তবে কোনো দেশের সরকারের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা সহজ হবে না; বিশেষ করে যখন ব্যবসা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনের প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।

এটি ভবিষ্যতে টিকটক নিষিদ্ধের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে। সেই সঙ্গে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে গুরুতর আলোচনার বিষয় হতে পারে। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সরকারি চাকরিজীবীদের মোবাইল ফোন থেকে ডিপসিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর কিছুদিন পরই খবর

আসে, দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার অ্যাপ ও প্লে স্টোর থেকে ডিপসিক মুছে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো যেহেতু এরই মধ্যে ডিপসিক বিষয়ে সতর্কতামূলক অবস্থান নিয়েছে, সে কারণে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্রও এই পথেই হাঁটবে।

সূত্র: টেক নিউজ ওয়ার্ল্ড

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি