তথ্য সংগ্রহে পশ্চিমা সোশ্যাল মিডিয়াই হয়ে উঠেছে চীনের মূল হাতিয়ার। যা দেশটির সামরিক ও পুলিশবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি, চুক্তি পর্যালোচনার পর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন বিগত এক দশক ধরেই এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিদেশি সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর ওপর নজরদারি বাড়াতে দেশব্যাপী একটি নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে দেশটি। সে লক্ষ্যেই তারা একটি শক্তিশালী সফটওয়্যার তৈরি করেছে। যা সংবেদনশীল তথ্য দিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের সতর্ক করতে ব্যবহার করা হয়। দেশীয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ও মিডিয়া ছাড়াও টুইটার, ফেসবুক এবং অন্যান্য পশ্চিমা সোশ্যাল মিডিয়াগুলো তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা ওই নথিগুলো থেকে জানা গেছে, চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া, প্রচার বিভাগ, পুলিশ, সামরিক ও সাইবার নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো আরও অত্যাধুনিক যান্ত্রিক ব্যবস্থা কিনছে। এগুলো তথ্য সংগ্রহের কাজে আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। টুইটার ও ফেসবুক থেকে দেশটির মিডিয়া সফটওয়্যার প্রোগ্রাম এরই মধ্যে বিদেশি সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদদের একটি ডেটাবেইস তৈরি করেছে। এ ছাড়াও নজর রাখা হচ্ছে হংকং, তাইওয়ানসহ উইঘুর ভাষার বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর।
গোপনে কাজ করা চীনবিরোধী কর্মীদের নেটওয়ার্ক ভালোভাবে বুঝতে তাদের এই কার্যক্রম বেশ সহায়তা করছে বলে জানিয়েছেন চীনের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগে রিপোর্টিং ইউনিটের এক বিশ্লেষক। এই ইউনিটকেই এক ধরনের বিশেষ ডেটা রিপোর্ট তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার মাধ্যমে বেইজিংয়ের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের সম্বন্ধে নেতিবাচক বিষয়বস্তু কীভাবে টুইটারে ছড়িয়ে পরে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।