হোম > প্রযুক্তি

ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির অভিযোগ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর ব্রাউজারের তথ্য ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে পাঠানো হয় ছবি: ওয়ার্ড স্ট্রিম

ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির করার অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানিটি একটি নতুন ট্র্যাকিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে, যা ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকের মতো নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের অনলাইনে ট্র্যাক করে। র‍্যাডবাউড ইউনিভার্সিটি এবং আইএমডিইএ নেটওয়ার্কসের এক গবেষণায় এসব তথ্য সামনে এসেছে।

এই ট্র্যাকার এমন অবস্থায়ও কাজ করে, যখন ব্যবহারকারী কোনো মোবাইল ব্রাউজারে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে লগইন করা নেই, ইনকগনিটো বা প্রাইভেট ব্রাউজিং মোডে আছেন, কুকিজ এবং ব্রাউজিং ডেটাও মুছে ফেলেছেন।

কাজ করে যেভাবে

লাখ লাখ ওয়েবসাইটে এমবেড (যুক্ত) করা হয়েছে ‘মেটা পিক্সেল’ নামের একটি স্ক্রিপ্ট (ছোট কোড বা প্রোগ্রাম), যা ফোনে ইনস্টল করা অ্যাপগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই স্ক্রিপ্ট আপনার ব্রাউজার এবং ফোন অ্যাপের মধ্যে ডেটা বিনিময় করে, যার মাধ্যমে তারা আপনাকে অনলাইনে ট্র্যাক করতে পারে। এমনকি যদি ব্রাউজারে কোনো অ্যাকাউন্ট লগইন করা না-ও থাকে।

এই পদ্ধতিতে ব্যবহারকারীর ব্রাউজারের তথ্য ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম অ্যাপে পাঠানো হয়। এরপর যদি আপনি ওই অ্যাপে লগইন করে থাকেন, তাহলে সেই তথ্য আপনার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যায়।

যে কারণে এই ট্র্যাকিং করা হয়

এই ট্র্যাকিং মূলত বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য, যাতে তারা জানতে পারে তাদের বিজ্ঞাপন কতটা কার্যকর হয়েছে। মেটা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ইয়ানডেক্স ২০১৭ সাল থেকেই তাদের নিজস্ব স্ক্রিপ্ট ইয়ানডেক্স মেট্রিকা দিয়ে একই রকম কাজ করছে।

তবে এই গবেষণা প্রকাশের পর ৩ জুন ২০২৫ থেকে মেটা পিক্সেল স্ক্রিপ্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কোডের বেশির ভাগ অংশ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

তবে ইয়ানপডেক্সের স্ক্রিপ্ট এখনো সক্রিয় এবং এটি প্রায় ৩০ লাখ ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এই ট্র্যাকিং মূলত অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে। এটি অ্যান্ড্রয়েডের এমন বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে, যেগুলো ওয়েবসাইটকে ফোনে ইনস্টল করা অ্যাপের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেয়।

গুগল এই সমস্যা সম্পর্কে জানে, তবে তারা অ্যান্ড্রয়েডের এই ব্যবস্থাপনায় কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো ঘোষণা দেয়নি। তাই এখন সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হলো মেটা ও ইয়ানডেক্সের অ্যাপগুলো ফোন থেকে সরিয়ে ফেলা। এই ট্র্যাকিং মূলত বিজ্ঞাপনদাতাদের জন্য, যাতে তারা জানতে পারে তাদের বিজ্ঞাপন কতটা কার্যকর হয়েছে। মেটা ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে। ইয়ানডেক্স ২০১৭ সাল থেকেই তাদের নিজস্ব স্ক্রিপ্ট ইয়ানডেক্স দিয়ে একই রকম কাজ করছে।

এই সমস্যা মূলত ক্রোম ও ক্রোমভিত্তিক ব্রাউজারগুলোতে প্রভাব ফেলে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সুরক্ষিত অন্যান্য নিরাপদ ব্রাউজার (ডাকডাকগো বা ব্রেভ) ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র: মেক ইউজ অব ও লাইফ হ্যাকার

গুগলের নতুন ফিচার: সাধারণ হেডফোনই হবে রিয়েল–টাইম অনুবাদক

ডিজিটাল উদ্যোক্তা প্রকল্প: পাঁচ বছরে অর্ধেক কাজ, ব্যয় বাড়ল ১৭৮ কোটি

যুক্তরাষ্ট্রে মাকে হত্যার পর ছেলের আত্মহত্যা, চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিবারের

মিসড কল মেসেজ ও ছবি থেকে অ্যানিমেশনসহ যেসব ফিচার আনল হোয়াটসঅ্যাপ

অস্ট্রেলিয়ায় ২ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ: ‘এটা কাজ করছে না ব্রো’— প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ জেন-জি’দের

সকালে ঘুম ভেঙে অস্ট্রেলিয়ার লাখো শিশু দেখবে তাদের ‘আইডি’ উধাও

ভারতে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে মাইক্রোসফট

ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আমদানিতে বিটিআরসির ‘না’, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মোবাইল ব্যবসায়ীদের

৩০ মিনিটের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার শিশুদের মনোযোগের ক্ষমতা কমায়, বলছে গবেষণা

ট্রাম্পের নতি স্বীকার, এনভিডিয়ার শক্তিশালী এআই চিপ চীনে বিক্রির অনুমতি