রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করায় সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফটকে ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভুক্ত রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান ও ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলের ব্যক্তিদের কাছে সফটওয়্যার ও অন্যান্য পরিষেবা বিক্রি করায় এই জরিমানা গুনতে হবে প্রতিষ্ঠানটিকে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও বাণিজ্য বিভাগ গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে মাইক্রোসফটের সঙ্গে একটি যৌথ সমঝোতায় পৌঁছেছে এটি। এর আগে, মাইক্রোসফট নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বেচ্ছায় মেনে নিয়ে ৩৩ লাখ ডলার জরিমানা দিতে সম্মত হয়।
মাইক্রোসফট এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছিল ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিলের মধ্যে। রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও এর ইউরোপীয় মিত্ররা রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এদিকে অ্যান্ড্রয়েডের বাজারে প্রভাব খাটানোর দায়ে কমপিটিশন কমিশন অব ইন্ডিয়া (সিসিআই) গুগলকে করা ১৬ কোটি ডলার জরিমানা বহাল রাখা হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে (এনসিএলএটি) আবেদন করেছিল গুগল। তবে সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গুগলের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে নিজেদের প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ছিল। সব অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ‘গুগল’ রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। মূলত এই অভিযোগের ভিত্তিতেই জরিমানা করা হয়। এর আগে অনলাইনে সার্চ ও অ্যান্ড্রয়েড প্লে স্টোরে নিজেদের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন—গুগল ক্রোম ও ইউটিউবকে বাড়তি সুবিধা দেওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠছিল গুগলের বিরুদ্ধে।
সিসিআই গুগলকে ফোন নির্মাতাদের ওপর থেকে যাবতীয় বিধিনিষেধ সরাতে এবং ফোনে গুগল অ্যাপ প্রি-ইনস্টলের শর্ত তুলে দিতে বলেছিল। তবে গুগল দাবি করে আসছিল, গ্রাহকসেবার কথা ভেবেই এটি তাদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে।
এনসিএলএটির চেয়ারপারসন বিচারক অশোক ভূষণ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক সদস্য অলোক শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, গুগলের কার্যক্রমের বিষয়ে তদন্তের ক্ষেত্রে কোথাও ন্যায়বিচার লঙ্ঘিত হয়নি।