হোম > প্রযুক্তি

পুরোনো স্মার্টফোনই হতে পারে ক্ষুদ্র ডেটা সেন্টার

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ১২০ কোটির বেশি স্মার্টফোন উৎপাদিত হয়। এসব স্মার্টফোনের বড় অংশ কয়েক বছরের ব্যবধানে অকেজো হয়ে পড়ে বা ব্যবহারকারীরা নতুন মডেল কেনার কারণে আগের ফোনটি ফেলে দেন। ফলে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রনিক বর্জ্য জমে ওঠে, যা পরিবেশের জন্য একধরনের হুমকি। এবার এই সমস্যার টেকসই সমাধানে এগিয়ে এসেছেন এস্তোনিয়ার গবেষকেরা।

এস্তোনিয়ার টারটু বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ইনস্টিটিউটের গবেষকেরা পুরোনো স্মার্টফোনকে ক্ষুদ্র ডেটা সেন্টারে রূপান্তরের এক অভিনব পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এই পদ্ধতিতে শুধু ই–বর্জ্য কমবে না, বরং ডিজিটাল তথ্য প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মিলবে পরিবেশবান্ধব ও কম খরচের সমাধান।

গবেষক দলের সদস্য ছিলেন হুবার ফ্লোরেস, উলরিখ নর্বিসরাথ, ঝিগাং ইয়িন ও পার্সিভারেন্স এনগয়। কীভাবে মাত্র ৮ ইউরো (হাজারখানেক টাকা) খরচ করে পুরোনো স্মার্টফোনকে কার্যকর ক্ষুদ্র ডেটা সেন্টার বানানো সম্ভব তা দেখিয়েছেন তাঁরা। আইইইই পারভাসিভ কম্পিউটিং সাময়িকীতে তাঁদের গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষকদের মতে, এসব ক্ষুদ্র ডেটা সেন্টার শহরের বাসস্ট্যান্ডে বসিয়ে যাত্রীসংখ্যা গণনা করা, যানবাহনের চলাচল পর্যবেক্ষণ বা জনপরিসংখ্যান বিশ্লেষণের মতো কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। ফলে পরিবহনব্যবস্থার দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হবে।

প্রকল্পের প্রাথমিক ধাপে ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলে তার বদলে বাইরের বিদ্যুৎ উৎস যুক্ত করা হয়, যাতে রাসায়নিক তরল লিক হওয়ার আশঙ্কা না থাকে। এরপর চারটি ফোনকে ৩ডি প্রিন্টেড কেসিং ও হোল্ডারের মাধ্যমে সংযুক্ত করে তৈরি করা হয় একটি কার্যকর প্রোটোটাইপ।

এই প্রোটোটাইপ পানির নিচেও সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। গবেষকেরা জানান, সাধারণত সমুদ্রের নিচে জীববৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণের জন্য স্কুবা ডাইভারদের ভিডিও ধারণ করতে হয়। পরে সেটি বিশ্লেষণ করে তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু নতুন প্রোটোটাইপ ব্যবহারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানির নিচে থেকেই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব হয়েছে।

গবেষণার অন্যতম প্রধান গবেষক উলরিখ নর্বিসরাথ বলেন, ‘টেকসই প্রযুক্তি মানে শুধু ভবিষ্যৎ রক্ষা নয়, বরং বর্তমানকে নতুনভাবে কল্পনা করা, যেখানে গতকালের পরিত্যক্ত ডিভাইসই হতে পারে আগামীর সম্ভাবনা।’

গবেষকদের মতে, এমন অনেক পুরোনো ডিভাইস রয়েছে, যেগুলো খুব সহজে কিছুটা রূপান্তর করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে কাজে লাগানো যায়। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ রক্ষা হবে, অন্যদিকে কম খরচে প্রযুক্তির সুফল পাওয়া যাবে।

সূত্র: এস্তোনিয়ান রিসার্চ কাউন্সিল

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব