১০ সেকেন্ডের কম সময়ের একটি রেস। সেটা ঘিরে কতই না উত্তেজনা। উসাইন বোল্টকেই দেখুন। ট্র্যাকে একসময় রাজত্ব করা জ্যামাইকান এই কিংবদন্তিও দর্শকসারিতে বসে উত্তেজনা চাপা রাখতে পারেননি। অবলিক সেভিল দ্রুততম মানব হওয়ার পর তাঁর গর্জনই বলে দেয় এমন একটি মুহূর্তের জন্য ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করতে হয়েছে জ্যামাইকাকে।
বোল্ট বাজি ধরেছিলেন সেভিল ও কিশানে থম্পসন— দুজনই এবার বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা দুইয়ে থেকে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করবেন। দিনশেষে বোল্টের কথাই সত্যি হলো। দুজনের মধ্যে অবশ্য কিশানে থম্পসনকে এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকেই। সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলসকেও আড়াল করেননি কেউ। কিন্তু তাদের ছাপিয়ে টোকিওর জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে বিদ্যুৎ গতিতে আলো ছড়ালেন সেভিল। ৯.৭৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জেতেন জ্যামাইকার এই স্প্রিন্টার। থম্পসন ৯.৮২ সেকেন্ড ও অলিম্পিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লাইলস নেন ৯.৮৯ সেকেন্ড সময়।
দৌড়ের শুরুটা নাটকীয় ছিল। প্যারিস অলিম্পিকে ২০০ মিটারে সোনা জেতা লেটসিলে তেবোগো ফলস স্টার্ট করায় দেখেন লাল কার্ড। সাতজন দৌড়বিদ তাই আবার ব্লকে ফিরে আসেন। এবার শুরুটা দারুণ করেছিলেন থম্পসন। অর্ধেকটা পথ এগিয়েও থাকেন তিনি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁকে পেছনে ফেলেন সেভিল। শেষ দিকে লাইলস গতি বাড়ালেও তাতে অনেক দেরি হয়ে যায়।
গত বছর প্যারিস অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সবার শেষে দৌড় শেষ করেন সেভিল। কে জানত শেষের দিক থেকে প্রথম হওয়া এই স্প্রিন্টার এক বছর পর ৬০ হাজার দর্শকের সামনে পরবেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এটাই ক্যারিয়ারে তাঁর প্রথম পদক, ‘দারুণ লাগছে। শেষবার কোনো জ্যামাইকান এ খেতাব জিতেছিল ২০১৫ সালে, আর তিনি ছিলেন উসাইন বোল্ট। আমি ভীষণ উচ্ছ্বসিত যে সোনা জামাইকায় ফিরেছে।’
মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৬১ সেকেন্ড নিয়ে দ্রুততম মানবী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেলিসা জেফারসন উডেন। জ্যামাইকার টিনা ক্লেটন ১০.৭৬ সেকেন্ড নিয়ে রুপা ও ১০.৮৪ সেকেন্ড নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন জুলিয়েন আলফ্রেড।