ঢাকা: ইতিহাস গড়লেন নিউজিল্যান্ডের ভারোত্তোলক লরেল হুবার্ড। প্রথম রূপান্তরকামী (ট্রান্সজেন্ডার) অ্যাথলেট হিসেবে টোকিও অলিম্পিকে অংশ নেবেন ৪৩ বছরের এই ভারোত্তোলক। ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি তাঁর এই অর্জন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা–সমালোচনা। হুবার্ডের অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়েছেন এই ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণকারী অন্য নারী প্রতিযোগীরা। তাঁরা মনে করেন, পুরুষ থেকে রূপান্তরিত হওয়া হুবার্ড বেশি সুবিধা পাবেন।
তবে নিউজিল্যান্ড অলিম্পিক সংস্থা এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘আমরা হুবার্ডকে অলিম্পিকে খেলানোর ব্যাপারে সব সময় সহায়তা করেছি। সে এখন পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছে। তাই নারী বিভাগে নামতে তাঁর কোনো বাধা নেই।’
২০১৭ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সিলভার জিতেছিলেন হুবার্ড। ২০১৮ কমনওয়েলথ বাহুর চোটে পড়ে ২০১৯ বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করতে পারেননি। সেবার ষষ্ঠ হয়েছিলেন তিনি। তবে দমে যাননি হুবার্ড। লক্ষ্য অর্জনে চালিয়ে গেছেন নিজের অনুশীলন। সমর্থন পেয়েছেন কাছের মানুষদের।
টোকিও অলিম্পিকের ছাড়পত্র পেয়ে আবেগাপ্লুত হুবার্ড বলেছেন, ‘পুরো দেশ ও আমাদের অলিম্পিক সংস্থা পাশে না দাঁড়ালে এত বড় সুযোগ আমার জীবনে আসত না। তিন বছর আগে কমনওয়েলথ গেমস খেলার সময় আমার হাত ভেঙে যায়। সেই সময় অনেকেই খেলা ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু আমার মন সায় দেয়নি। তবে পরিবার, কাছের কিছু বন্ধু ও দেশের অলিম্পিক সংস্থার কর্তাদের উৎসাহ আর সমর্থনে গত ১৮ মাসে সেই অন্ধকার সময় কাটিয়ে উঠেছি।’