প্রতি দুই বছর পরপর বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। নিজেদের এই সিদ্ধান্তে এখনো অনড় আছেন সংস্থাটির সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
পরশু সোমবার ভার্চুয়াল গ্লোবাল সামিটে যুক্ত হয়ে দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন ইনফান্তিনো। এ বিষয়ে এক বৈঠকে বসেন তিনি। সেখানে ২১১ জন সদস্যের মধ্যে ২০৭ জনই উপস্থিত ছিলেন।
এমন আয়োজনে ফিফার আয় বেড়ে যাওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। ইনফান্তিনোর দাবি, ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে আয় বেড়ে প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার হবে। তার মানে, ফিফার রাজস্ব আয় বাড়বে আরও ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির এক সমীক্ষা অনুযায়ী, দুই বছর পর পর বিশ্বকাপ হলে ফুটবলের অর্থনীতিই পাল্টে যাবে। তখন সব সদস্য দেশ একই রকম সুযোগ-সুবিধা পাবে।
ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘ইউরোপিয়ান সুপার লিগের (বিদ্রোহী লিগ) পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে এটা হবে কার্যকর উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সবাই সুযোগ পাবে। এটাই আমাদের প্রকল্পের মূলনীতি।’
যদিও এমন পরিকল্পনার বিরোধিতা করছে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের সদস্য দেশগুলো। এ জন্য এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না ফুটবলের নীতিনির্ধারকেরা। জার্মানির বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম বলেছেন, ‘বড় ইভেন্ট আয়োজনের ক্ষেত্রে সময় ও ধৈর্য ধারণ জরুরি। দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ ফুটবলের সোনালি সময়কে হত্যা করে ফেলবে।’
আর্সেনালের সাবেক কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার বর্তমানে ফিফার উন্নয়ন কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি দুই বছর অন্তর বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা তাঁর মাথা থেকে আসে।
গত সেপ্টেম্বরে ফরাসি এক পত্রিকায় ওয়েঙ্গার বলেছিলেন, ‘এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশগুলো আগের চেয়ে অনেক বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। এর মাধ্যমে ফুটবলের মান ও প্রতিযোগিতা অনেকাংশেই বৃদ্ধি পাবে। এখানে অর্থের বিষয়টি মোটেই মুখ্য নয়।’