তারকা খেলোয়াড়দের এই হচ্ছে জ্বালা। ছন্দে না থাকলে ভক্ত-সমর্থকদের সমালোচনার পাশাপাশি শুনতে হয় দুয়োধ্বনি। নেইমারের শৈশবের ক্লাব সান্তোসের হয়ে খেলেও নেইমার এমন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সব কিছুর জবাব ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড দিয়েছেন মাঠেই।
ক্যাম্পেওনাতো পাউলিস্তা টুর্নামেন্টে গত রাতে নেইমারের দল সান্তোস খেলেছে ইন্টারন্যাশনাল দি লিমেইরার বিপক্ষে। মেজর হোসে লেবি সবরিনহো স্টেডিয়ামে ম্যাচের ২৭ মিনিটের সময় তিনি কর্নার নিতে গেছেন। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড তখন গ্যালারি থেকে ভক্ত-সমর্থকদের দুয়োধ্বনি শুনেছেন। কর্নার থেকে সেসময় অসাধারণ এক গোল করেছেন নেইমার। বলটা লিমেইরার গোলরক্ষক ইগো গ্যাব্রিয়েল সান্তোস পেরেইরা ঠেকাতে গেলেও সেটা তাঁর হাত ফাঁকি দিয়ে বারে লেগে জাল স্পর্শ করে। অসাধারণ এই গোলের পর লিমেইরার ভক্ত-সমর্থকদের তাকিয়ে নেইমার অদ্ভুত এক ভঙ্গিতে বিজ্ঞাপন বোর্ডের ওপর বসেন। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে এরপর সতীর্থরা এসেছে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
UGASUAGSDUASGDUAGSUDGA O NEYMAR METEU UM GOL OLÍMPICO! O ADM TÁ COMPLETAMENTE MALUCO! NÃO É POSSÍVEL! KKKKKKKKKKKKKK #Paulistão2025 pic.twitter.com/8S3vby2Npk
— TNT Sports BR (@TNTSportsBR) February 23, 2025
সান্তোস-ইন্টারন্যাশনাল দি লিমেইরা নয়, সবরিনহো স্টেডিয়ামে গতকাল ম্যাচটা হয়েছে নেইমারের সঙ্গে লিমেইরার। সান্তোস ৩-০ গোলে হেসেখেলে ম্যাচ জিতেছে। তিনটিতেই অবদান নেইমারের। একটি তো তিনি করেছেন। অপর দুটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড। ৯ মিনিটে নেইমারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন তিকিনহো সোয়ারেস। ৩২ মিনিটে সোয়ারেস করেন নিজের দ্বিতীয় গোল। যা সান্তোসের তৃতীয় গোল।
সান্তোসের হয়েই ক্লাব ক্যারিয়ারে অভিষেক হয় নেইমারের। ২০০৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত খেলার পর তিনি পাড়ি জমান বার্সেলোনায়। বার্সার পর প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি), আল হিলাল ঘুরে আবার ফিরেছেন সান্তোসে। মাঝে কেটে গেছে ১২ বছর। দীর্ঘ ১ যুগ পর সান্তোসে ফিরে ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ২ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৩ গোল। এই ৬ ম্যাচের মধ্যে তিনি জিতেছেন ৩ ম্যাচ, ১ ম্যাচ হেরেছেন ও বাকি ২ ম্যাচ ড্র হয়েছে। ঘরের মাঠ ভিলা বেলমিরোতে গত ১৭ ফেব্রুয়ারিতে অ্যাগুয়া সান্তা এসপির বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছিল সান্তোস। এই ম্যাচে গোল করে ৫০২ দিন পর গোলের দেখা পেয়েছিলেন নেইমার।