বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি তরুণদের নিয়ে এসেছেন স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে। গত ইউরোতে এই তরুণ দলটিই চমক দেখিয়েছিল। সেই তারুণ্যেই ভরসা করে এবারের বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে স্পেন। ৭-০ গোলের জয়ে কোস্টারিকার ডিফেন্স লাইনকে ছেলেখালাই বানিয়ে ফেলে স্পেন।
ম্যাচের প্রথম সাফল্য আসে ১১ মিনিটে। বার্সেলোনার গোল্ডেন বল জেতা আঠারো বছর বয়সী গাভির বাড়ানো বল থেকে দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন দানি অলমো। কিন্তু আরও গোলের উৎসব যে বাকি রয়েছে সে কথা কি আর জানত স্প্যানিশ ফুটবলের নাড়ি নক্ষত্র জানা কোস্টারিকার অধিনায়ক কেইলর নাভাস!
২২ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে বার্সেলোনার লেফটব্যাক জর্দি আলবার বাড়ানো বল বক্সের মধ্যে পেয়ে যান মার্কো আসেনসিও। সিঙ্গেল টাচে সাবেক রিয়াল সতীর্থ নাভাসকে বোকা বানান তিনি। আর দুই শূন্যতে এগিয়ে যায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা।
দশ মিনিট পর কোস্টারিকাকে বলার বাকি ছিলো যে, আর প্রথমার্ধ খেলতে হবে না। তার আগেই ম্যাচের ফল হয়ে যাচ্ছে ধরেই নেয়া যায়। ৩২ মিনিটে জর্দি আলবাকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্পেন। আর তা গোলে রূপান্তর করেন বার্সেলোনার উইঙ্গার ফেরান তোরেস।
মাঝমাঠ আর আক্রমণভাগে সমান দাপিয়ে বেড়িয়েছেন বার্সেলোনার দুই তরুণ তুর্কি পেদ্রী ও গাভি। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে নেমে যেন স্বাভাবিক লিগের ম্যাচই খেলছেন তারা এতটাই সাবলীল ও স্বচ্ছন্দ ছিলেন তারা। বলের দখলে স্প্যানিশ খেলোয়াড়দের কাছে পাত্তায় পায়নি উত্তর আমেরিকার দলটি। প্রথমার্ধেই আরও গোলের সুযোগ পেলেও শেষ পর্যন্ত তা জালে জড়ায়নি। তাই ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে স্পেন।
দ্বিতীয়ার্ধে পজিশনাল ফুটবলে কিছুটা ধীরে সুস্থে আক্রমণ করে স্পেন। ৫৪ মিনিটে নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার পনেরো তম গোলটি করেন ফেরান তোরেস।
দলের পঞ্চম গোলটি তরুণ গাভির। বাম প্রান্ত থেকে আলভারো মোরাতা থেকে বক্সের বাইরে বল পেয়ে দারুণ এক গোল করেন গাভি। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে গোলের যেন আরও বাকি ছিল। ৯০ মিনিটের ষষ্ঠ গোলটি করেন কার্লোস সোলের। দুই মিনিট পর অতিরিক্ত সময়ে সপ্তম গোলটি করেন বদলি হিসেবে নামা আলভারো মোরাতা। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্পেন।