জোড়া গোলের পর হামজা চৌধুরী যখন মাঠ থেকে উঠে যাচ্ছিলেন তখনো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। চোট পাওয়া হামজাকে নিয়ে বড় ঝুঁকি আর নিতে চাননি কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। যেহেতু সামনেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। কিন্তু এরপরই ঘটল বিপদ। যোগ করা সময়ের গোলে জাতীয় স্টেডিয়ামে ২-২ ব্যবধানের সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেপাল।
হামজা যদি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতেন, তাহলে ফল অন্য রকম হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। তা বলছেন খোদ নেপাল কোচ হরি খড়কা। দ্বিতীয়ার্ধের বাংলাদেশের গোল হজম করে রক্ষণের ভুলে। কর্নার থেকে আসা বল দারুণ এক ব্যাকফ্লিকে জালে পরিণত করেন অনন্ত তামাং। বাংলাদেশ ফুটবল লিগে ফর্টিস এফসিতে খেলা এই ফুটবলার নীরবতা বয়ে আনেন পুরো গ্যালারিতে।
ম্যাচ শেষে নেপাল কোচ বলেন, ‘এটা তো কোচের কৌশল (হামজাকে তুলে নেওয়া)। তবে আমি মনে করি, যদি হামজা খেলত, তাহলে আমাদের দ্বিতীয় গোল পাওয়াটা কঠিন হতো।’
বাংলাদেশের দ্বিতীয় গোলটি আসে পেনাল্টি থেকে। তা পেনাল্টি ছিল না বলে দাবি হরির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না, কেননা, আমরা প্রেসিং জোন আঁটসাঁট রেখেছিলাম। দ্বিতীয়ার্ধে ওরা গোল পেয়ে গেল, হামজা দারুণ গোল করেছে, কিন্তু দ্বিতীয় গোলটি আমি মনে করি, ওটা পেনাল্টি ছিল না।