ঘরের মাঠ বলে কথা। গ্যালারি পরিপূর্ণ না হলে কি চলে! সমর্থকদের মধ্যে উন্মাদনার মাত্রা কেমন, সেটা নতুন করে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। উদাহরণ হিসেবে প্রথম ধাপে ২৪ মিনিটে ম্যাচের ১৯ হাজার টিকিট বিক্রি হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা যায়। খবরটা অজানা নয় প্রতিপক্ষ হংকংয়ের কাছেও।
বাংলাদেশে এসে খেলাটা যে সহজ হবে না, সেটা হংকং টের পেয়েছে আগেই। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে গতকাল রাত ১টায় ঢাকায় এসেছে হংকং ফুটবল দল। ৯ অক্টোবর জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের আগে আজ ও কাল অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছে তারা। ৯০ মিনিটের খেলায় হামজা-শমিতরা তো বটেই, গ্যালারিতে থাকা বাংলাদেশের সমর্থকেরাও চেষ্টা করবেন প্রতিপক্ষের প্রতিকূলতা বাড়ানোর। তাই বলে মনোবলে চিড় ধরছে না সফরকারীদের।
ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগে গতকাল হংকংয়ের উইঙ্গার মাহামা আওয়াল বলেন, ‘বাংলাদেশে খেলা প্রতিপক্ষের জন্য খুব কঠিন হয়ে থাকে বলে শুনেছি। কিন্তু আমরা শক্তিশালী ও প্রস্তুত। পূর্ণোদ্যম ও ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সেখানে যাব। জেতার জন্য সবটুকু দিয়ে লড়ব। মূল পর্বে উঠতে হলে আমাদের পয়েন্ট দরকার।’
বাছাইপর্বে ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপে টেবিলের দুইয়ে আছে হংকং। তিনে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ১। সমান পয়েন্ট নিয়ে চারে ভারত। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় হংকংয়ের সমান পয়েন্ট নিয়েও শীর্ষে আছে সিঙ্গাপুর।