২০২৩ সালে টটেনহাম থেকে বায়ার্ন মিউনিখে আসার পর পুরোদস্তুর গোলমেশিন হয়ে উঠেছেন হ্যারি কেইন। একের পর গোল করে ওলটপালট করে দিচ্ছেন রেকর্ড বইয়ের পাতা। এবার তিনি বায়ার্নের হয়ে গোলের সেঞ্চুরি করে ফেললেন। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা কেইন ভেঙে দিয়েছেন আর্লিং হালান্ড-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে।
বুন্দেসলিগায় গত রাতে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মুখোমুখি হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ-ভেরডার ব্রেমেন। এই ম্যাচে ব্রেমেনকে নিয়ে বায়ার্ন রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। বায়ার্নের ৪-০ গোলে জয়ের রাতে জোড়া গোল করেছেন কেইন। তাতে ব্যাভারিয়ানদের হয়ে গোলের সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেছেন তিনি। ১০৪ ম্যাচে ১০০ গোল করে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে নির্দিষ্ট ক্লাবের হয়ে দ্রুততম গোলের সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন কেইন। এর আগে রেকর্ডটি যৌথভাবে ছিল রোনালদো ও হালান্ডের। দুজনেরই গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে লেগেছিল ১০৫ ম্যাচ। ২০১১ সালে রোনালদো এই কীর্তি গড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। হালান্ড ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে গোলের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন গত বছর।
ভেরডার ব্রেমেনের বিপক্ষে বায়ার্ন গত রাতে প্রথম গোল পায় ২২ মিনিটে। ঘরের মাঠ আলিয়েঞ্জ অ্যারেনায় এই গোল করেন ডিফেন্ডার জোনাথন টাহ। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন। ৪৪ মিনিটে ব্রেমেনের বক্সে ফাউলের শিকার হয়েছেন হ্যারি কেইন। পেনাল্টি থেকে কেইন গোল করলে বায়ার্ন এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ২০ মিনিট পর তৃতীয় গোলের দেখা পায় বায়ার্ন। ৬৫ মিনিটে লুইস দিয়াজের পাস রিসিভ করে কেইন করেন নিজের দ্বিতীয় গোল, যা বায়ার্নের হয়ে কেইনের শততম গোল। ম্যাচের শেষ দিকে এসে ব্রেমেনের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় বায়ার্ন। ৮৭ মিনিটে গোলটি করেন ডিফেন্ডার কনার্ড লাইমার।
৪-০ গোলে জিতে ২০২৫-২৬ মৌসুমের বুন্দেসলিগায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বায়ার্ন। পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট পেয়েছে কেইনের দল। দুই ও তিনে থাকা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও লাইপজিগের পয়েন্ট ১০ ও ৯। এ দুই দল খেলেছে চারটি করে ম্যাচ। ছন্দে থাকা কেইন এবার সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ৮ ম্যাচ খেলেছেন। ১৫ গোলের পাশাপাশি ৩ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। বায়ার্ন এবার নেমেছে শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।