১৯৯৮ সালের পর থেকে বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে আছে নরওয়ে। অবশেষে বাছাইপর্বের বাধা অতিক্রম করল তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপের মুল পর্বে জায়গা করে নিল নরওয়েজিয়ানরা। ২৮ বছর পর বিশ্বমঞ্চে দেখা যাবে তাদের। ইউরোপের দলটিকে বিশ্বকাপে নেওয়ার নায়ক আর্লিং হালান্ড। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার পর দায়িত্ব মুক্তির আনন্দে ভাসছেন এই স্ট্রাইকার।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বের ‘আই’ গ্রুপে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে নরওয়ে। তাদের কাছে হেরে আরও একবার বিশ্বকাপে জায়গা না পাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেল ইতালি। প্লে অফে খেলতে হবে আজ্জুরিদের। আগের দুই আসরেও প্লে অফ হেরেছিল চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সান সিরোতে ৯ গোলের ব্যবধানে নরওয়েকে হারাতে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট কাটতো ইতালি। এই কঠিন সমীকরণ মেলানো তো দূরে থাক, ন্যূনতম ব্যবধানেও জিততে পারেনি তারা। হারলেও সান সিরোতে শুরুতেই পিও এসপোসিতোর গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকেরা। এরপর প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় নিয়ে ফিরেছে নরওয়ে। জোড়া গোল করেন হালান্ড। বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার দিনে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারায় একটু বেশিই খুশি ম্যানচেস্টার সিটি তারকা।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে হালান্ড বলেন, ‘নরওয়েকে বিশ্বকাপে নিয়ে আসা আমার জন্য দায়িত্ব ছিল। আমি কয়েক বছর ধরেই এটা বলে আসছি। এটা আমার কাঁধে বড় দায়িত্ব ছিল। ২০১৯ সালে জাতীয় দলে আসার পর থেকেই আমি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে আসছি। আমি জানি না এটাকে ইতিহাস বলা যাবে কিনা। আপনি চাইলে এটাকে যেকোনো কিছু বলতে পারেন।’
দলের জন্য চাপ নিতে ভালো লাগে হালান্ডের, ‘আমি খুশি। বিশ্বকাপ নিশ্চিত হওয়ার পর স্বস্তি পেয়েছি। অনেক চাপ এবং কিছু বিষয় আছে। আমি সেসব অনুভব করি। এটা আমার জন্য মজার বিষয় হবে।’