হোম > খেলা > ফুটবল

সুবিধাবঞ্চিত খুদে ফুটবলারদের স্বপ্নের ঠিকানা

নাজিম আল শমষের, ঢাকা

জিয়াদের মস্তিষ্কে যেন একটা ঘড়ি ঠিক করা আছে! ঘড়ির কাঁটা বেলা ৩টার আশপাশে যাওয়ার আগেই মস্তিষ্ক সংকেত দিতে থাকে, এবার ঘর থেকে বের হতে হবে। গোয়ালা বাবা-মার ১১ বছর বয়সী ছেলে জিয়াদের গন্তব্য মিরপুরের বৃন্দাবন মাঠের ‘ঢাকা গোল্ডেন ফিউচার ফুটবল একাডেমি’।

মিরপুর সেনানিবাসের পেছনে বৃন্দাবন মাঠটা মূলত উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের অংশ। আপাতত ফাঁকা প্লটগুলোয় বিকেল হলে ভিড় জমে আশপাশের শিশু-কিশোরদের। অধিকাংশই সুবিধাবঞ্চিত। গত বছরের লকডাউনে বৃন্দাবন মাঠে বৈকালিক ভ্রমণে গিয়ে এমনই কিছু শিশুদের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শেখ বেলাল আহমেদের। ফুটবল নিয়ে শিশু-কিশোরদের আগ্রহ দেখে তখনই মনে ভাবনাটা যেন উঁকি দিয়ে গেল বেলালের—এদের নিয়ে একটা একাডেমি গড়লে কেমন হয়? নিজের ভাবনাটা ভাগাভাগি করলেন সাবেক ফুটবলার সতীর্থদের সঙ্গে। পাশে পেয়ে গেলেন জাতীয় দলের সাবেক তারকা ফুটবলার আলফাজ আহমেদকে। দুজনের সঙ্গে আরও কয়েক সাবেকের স্বপ্ন মিলে গত বছরের ৩১ জুলাই বৃন্দাবনের এক অস্থায়ী প্লটে জন্ম নিয়েছে ঢাকা গোল্ডেন ফিউচার ফুটবল একাডেমি।

৪০-এর বেশি শিশু নিয়ে গড়ে ওঠা একাডেমিতে এখন নিবন্ধিত খুদে ফুটবলারের সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই। বিকেলে কোচিং করানোর ফাঁকে একাডেমির যাত্রা শুরুর ছবি দেখাচ্ছিলেন বেলাল আহমেদ। এক বছর আগে সেই ছবিতে কারও পরনে শুধু লুঙ্গি কিংবা হাফপ্যান্ট আর ধুলোমাখা খালি পা। বছর ঘুরতেই এ শিশুরাই মাঠে নামছে গায়ে জার্সি চাপিয়ে। প্রায় সবার পায়েই আছে ফুটবল বুট। খুদে ফুটবলারদের দিকে গর্বিত চোখে বেলাল আহমেদ বলছিলেন, ‘আমরা সবাকেই তিন জোড়া করে বুট দিয়েছি। জার্সি সবারই আছে। ফুটবলটাকে যেন এরা মনেপ্রাণে ধারণ করতে পারে।’

বিনা মূল্যে খেলার সুযোগ পাওয়া একাডেমির অধিকাংশ ফুটবলার ছোটখাটো কোনো না কোনো পেশায় জড়িত। পেশাজীবী বাবা-মাকে সহায়তা করছে কেউ। কেউ বা দিনে মজুর কিংবা ছোটখাটো দোকানদার। একাডেমির আরেক প্রতিষ্ঠাটা আলফাজ আহমেদ বললেন, ‘আমরা চাই ফুটবল খেলার আনন্দটা এদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। এরা যদি একবার আনন্দটা বুঝতে পারে, ওদের আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না। যদি একজনও সত্যিকারের তারকা হয়ে উঠতে পারে তাহলে সেটাই সার্থকতা।’

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মনে যে আলফাজ-বেলালরা ফুটবল বীজ বুনে আনন্দটা ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন, দিন দিন একাডেমির কলেবর বড় হয়ে ওঠাই সেটির প্রমাণ। একাডেমিতে বয়সভিত্তিক দল আছে চারটি। সাপ্তাহিক বন্ধের দুই দিন বৃহস্পতি-শুক্রবার বাদে বাকি পাঁচ দিন বেলা ৩টায় মিরপুরের আশপাশের এলাকা থেকে বৃন্দাবন মাঠে নামে শিশুদের ঢল। একাডেমিটা তখন পরিণত হয় খুদে ফুটবলারদের আনন্দধাম আর স্বপ্নের বাতিঘরে।

কেন তিন গোলরক্ষক নামিয়েছিল উগান্ডা

ফুটবলে নতুন আশা, ক্রিকেট করেছে হতাশ

হাকিমির ফেরার রাতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন মরক্কো, ম্যাচ না জিতেও পরের রাউন্ডে মালি

২০২৬ বিশ্বকাপ দেখতে রেকর্ড ১৫ কোটি টিকিটের আবেদন

১০০০ গোল না করা পর্যন্ত অবসর নেবেন না রোনালদো

রোনালদোভক্ত তনিমার দৃষ্টিনন্দন জোড়া গোলে শুরু নারী লিগ

এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিতে মেয়েদের ভরসা ঘরোয়া লিগ

নৌকাডুবিতে ভ্যালেন্সিয়া কোচ ও তাঁর তিন সন্তানের মৃত্যু

রোনালদো-জাদুতে আল নাসরের ইতিহাস

দিয়াবাতের পেনাল্টি মিস, কিংসকে হারাতে পারেনি আবাহনী