উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে গালাতাসারের কাছে ১–০ গোলে হারার পর চোট নিয়ে নতুন চিন্তায় পড়েছে লিভারপুল। চোট পেয়েছেন অলরেডদের গোলরক্ষক আলিসন বেকার ও স্ট্রাইকার হুগো একিতিকে। তুর্কি ক্লাবটির কাছে হারের চাইতেও এই দুইজনের চোট নিয়ে বেশি চিন্তিত লিভারপুলের কোচ আর্নে স্লট।
প্রতিপক্ষের মাঠ র্যামস পার্কে ম্যাচের ১৬ মিনিটে ভিক্টর ওশিমেনের স্পট কিক থেকে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলের দেখা পায় গালাতাসারে। বাকি সময়ে আর গোলটার শোধ দিতে পারেনি লিভারপুল। ৫৬ মিনিটে আলসনকে তুলে নেন স্লট। ব্রাজিলিয়ান তারকার বদলি হিসেবে মাঠে নামানো হয় মামারদাসভিলিকে।
৬৮ মিনিটে মাঠ ছাড়েন একিতিকে। এই ফরাসি ফুটবলারের চোট কতটা গুরুতর সে বিষয়ে কিছু জানাননি স্লট। মেডিকেল টিমের অপেক্ষায় আছেন তিনি। তবে আলিসনকে যে পরবর্তী ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নিশ্চিতভাবেই বলেছেন স্লট। আগামী ৪ অক্টোবর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চেলসির আতিথেয়তা নেবে লিভারপুল।
একিতিকের চোট নিয়ে স্লট বলেন, ‘সে (একিতিকে) বল ধরতে গিয়ে ভালো অনুভব করছিল না। অনেক সময় খেলোয়াড়রা মনে করে সমস্যা তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু আপনি যখন হাঁটবেন, আবার দৌঁড়াবেন বা শট নেবেন–এসবের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য আছে। সে বলেছে আর খেলা চালিয়ে যেতে পারবে না। তাই তাকে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। আমরা ওর চোটের সবশেষ তথ্যের অপেক্ষায় আছি। দেখি সপ্তাহখানেক পর কী হয়।’
আলিসন কবে মাঠে ফিরবেন সে বিষয়েও কোনো তথ্য দিতে পারেননি লিভারপুল কোচ, ‘আমি ঠিক কিছু বলতে পারছি না। কারণ আমি ফিজিও নই। কিন্তু একজন খেলোয়াড় যখন দৌড়ে পিছনে ফিরে আসে, ভালো অনুভব করে না, মাঠে বসে পড়ে, তখন এটা ভালো বিষয় না। আমার কোনো খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এমন কিছু হলে আমি দশবারের মধ্যে নয়বারই খারাপ কিছু মনে করি। সবচেয়ে খারাপ বলতে আমি বলতে চাইছি যে, সে আর খেলতে পারবে না। আলিসনের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। সে শনিবার খেলতে পারবে না। এটাই ৯৯.৯ শতাংশ বলতে পারি। তবে আমি এটাকে শতভাগ বলতে পারি। আমার মনে হয় সে পরবর্তী ম্যাচে খেলতে পারবে না।’