প্রথমার্ধে গোছানো ফুটবল যা খেলার, তা খেলল নেপালই। ঘরের মাঠে হামজা চৌধুরীকে নিয়েও তাদের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল খেলতে পারছে না বাংলাদেশ। হাভিয়ের কাবরেরার দল প্রথমার্ধ শেষ করেছিল তাই ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে। তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলার দুই মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিলেন হামজা।
গত অক্টোবরে সবশেষ হংকং ম্যাচের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। শমিত শোম, শাকিল আহাদ তপু ও চোটে থাকা শেখ মোরসালিনকে বসিয়ে রাখেন তিনি। শুরুর একাদশে রাখেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ও সোহেল রানা জুনিয়রকে।
পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করা বাংলাদেশ সমতায় ফেরে হামজার গোলে। জামালের ভলি থেকে ৪৬ মিনিটে ওভারহেড কিকে গোল করেন হামজা। এরপর ৪৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পানেনকা শটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন হামজা। সুমন শ্রেষ্ঠার সঙ্গে সংঘর্ষে রাকিব মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পেনাল্টির বাঁশি বাজান লঙ্কান রেফারি কসুন লাকমাল। যদিও সেই পেনাল্টি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। রিপ্লেতে দেখা যায়, রাকিবকে সেভাবে কোনো আঘাত করেননি সুমন।
জাতীয় স্টেডিয়ামে ১০ মিনিটে ফাহিমের ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি সোহেল রানা জুনিয়র। ২৫ মিনিটে রাকিব-ফাহিমের তালমেল না হওয়ায় খোলেনি গোলের দুয়ার।
২৯ মিনিটে সুমিত শ্রেষ্ঠার কাটব্যাক থেকে নেপালকে এগিয়ে দেন রোহিত চাঁদ। বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিতুল মারমা ঝাঁপিয়ে পড়েও মাটি কামড়ানো সেই শট আটকাতে পারেননি।
ঠিক পরের মিনিটেই আক্রমণে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু রাকিব হোসেনের পাস থেকে ফাহিমের নেওয়া শট সহজেই আটকে দেন নেপাল অধিনায়ক কিরণ লিম্বু।
রাকিবের সহজাত পজিশন রাইট উইং হলেও আজ কাবরেরা তাঁকে খেলান বাঁ প্রান্তে। ঠিক কী কারণে, সেই উত্তর হয়তো তিনিই দিতে পারবেন। ৪৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে রাকিবের ক্রসে ফাহিমের হেড লোপ্পা বলের মতো তালুবন্দী করেন কিরণ লিম্বু।