মাঠে নেই ঠিকই; কিন্তু প্রতিপক্ষের নাম যখন বার্সেলোনা, তখন উসমান দেম্বেলে কী করেই বা আলোচনার বাইরে থাকেন। সাবেক ক্লাব বলে কথা। কদিন আগে লামিনে ইয়ামালকে টপকে জিতলেন ব্যালন ডি’অর। দেম্বেলে থাকলে চ্যাম্পিয়নস লিগে আজকের ম্যাচটি পেত অন্য রকম বার্তা। বাদ সাধল চোট।
ইয়ামাল অবশ্য চোট থেকে ফিরেছেন মাত্রই। তাতে বার্সেলোনা হয়ে উঠেছে আরও প্রাণবন্ত। আস্থার জায়গাও বেড়ে গেছে। যদিও ইয়ামালকে ছাড়াই লা লিগায় ছন্দ ধরে রেখেছে হান্সি ফ্লিকের দল। বলা যায়, মৌসুমে প্রথমবার সত্যিকারের পরীক্ষার মুখে পড়ার আগে ‘প্রস্তুতি’টা ভালোই হলো তাদের। অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আজ সেই পরীক্ষা নেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দলের সব শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০২৩-২৪ মৌসুমের কোয়ার্টার ফাইনালে। সেবার ঘরের মাঠে পাত্তাই পায়নি বার্সা। এবারও কি তেমন কিছু হবে? ফ্লিক অবশ্য আগের হিসাব মনে রাখছেন না। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বার্সা কোচ বলেন, ‘পিএসজির বিপক্ষে আগের ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি না; কারণ, আমাদের মনোযোগ রাখতে হবে এই ম্যাচে। অতীত আর বর্তমান আলাদা; সবকিছু এখন পুরো বদলে গেছে।’
দেম্বেলের কাছে ব্যালন ডি’অর হারানোয় পারফরম্যান্সের ধার বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ইয়ামাল দিয়ে রেখেছেন আগেই। তাঁকে নিয়ে মাতামাতি হওয়ায় একটু চটেও উঠলেন ফ্লিক, ‘তার বয়স মাত্র ১৮, তাকে কঠোর পরিশ্রমের দিকেও মনোযোগ দিতে হবে। পরের ধাপে এক বা দুই ধাপ ওপরে যেতে চাইলে শুধু প্রতিভা দিয়ে হবে না, পরিশ্রমও করতে হবে। শুধু বল নিয়ে খেলা নয়, রক্ষণাত্মক দায়িত্বও পালন করতে হবে।’
২০১৭ সালে পিএসজির বিপক্ষে ৬-১ গোলের জয়ে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছিল বার্সা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ ব্যবধানে জিতে শেষ আটে পা রাখে তারা। সেবার কাতালানদের কোচ ছিলেন লুইস এনরিকে। আজ তিনি থাকবেন পিএসজির ডাগআউটে। সেই অভিজ্ঞতা অবশ্য গত বছর হয়েছিল তাঁর। প্রতিপক্ষ হিসেবেও তাই বার্সা অচেনা নয় তাঁর কাছে। তাই তো কদিন আগে মার্শেইর কাছে হারের পর বলেছিলেন, ‘খেলোয়াড়েরা চায় না ভুল করতে, তবে সেটা মেনে নিতে হবে, তারা মানুষ, আর খেলারই একটা অংশ এটা। কিন্তু যদি মার্শেই বা বার্সার বিপক্ষে একই রকম সহজ পাস মিস করে, তাহলে হেরে যাব। একজন কোচ হিসেবে খেলোয়াড়দের ভুলে আমার ক্ষুব্ধ হওয়া বা মেনে নেওয়া উচিত নয়। তবে বার্সার বিপক্ষে আমরা উন্নতি করব।’
উন্নতির পথে পিএসজির বড় বাধা চোট। দেম্বেলের মতো মার্কিনিওস, দেজিরে দুয়ে ও খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়াও ছিটকে পড়েছেন এই ম্যাচ থেকে। যদিও স্বস্তির খবর সুস্থ হয়ে উঠেছেন জোয়াও নেভেস। সেই ৪ ফুটবলারের ঘাটতি মেটাতে তরুণদের ওপর আস্থা রাখছেন এনরিকে।