হ্যাটট্রিক, সেঞ্চুরি বা কোনো নির্দিষ্ট মাইলফলক অর্জন—এসব ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের নানা রকম উদযাপন করার ঘটনা বেশ পরিচিত। অনেক সময় তাতে প্রতিপক্ষ দল বাধাও দেয়। ব্রাজিলের তরুণ ফুটবলার এনড্রিক গত রাতে তেমনই এক ঝামেলার মুখোমুখি হয়েছেন।
মন্টেভিডিওর সেন্টেনারি স্টেডিয়ামে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে লিভারপুল ও পালমেইরাস। এই লিভারপুল ক্লাবটি উরুগুয়ের। ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসের হয়ে গত রাতে দুর্দান্ত এক গোল করেন এনড্রিক। ৮২ মিনিটে কর্ণার থেকে প্রথমে বল রিসিভ করে হেড দেন রনি। রনির পর হেড দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এনড্রিক। গোলের পর বাধভাঙা উদযাপন করেছেন কিং কংয়ের মতো। ব্রাজিলের ১৭ বছর বয়সী ফুটবলারের উদযাপন পছন্দ হয়নি লিভারপুলের। পালমেইরাস-লিভারপুল ফুটবলারদের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়েছে। ৮৫ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে বদলিও করা হয়।
লিভারপুলকে গত রাতে ৫-০ গোলে হারিয়েছে পালমেইরাস। এনড্রিক এখানে দুই গোলে অবদান রেখেছেন। একটি গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেন এক গোলেও। রাফায়েল ভেইগা ৭১ মিনিটে যে গোল, সেটাতে অ্যাসিস্ট করেছেন এনড্রিক। ভেইগা করেছেন দুই গোল। বাকি দুই গোল করেন রনি ও গুস্তাভো গোমেজ। গোলের উদযাপন প্রসঙ্গে এনড্রিক বলেন, ‘গোল, অ্যাসিস্ট ও জয়ে খুব খুশি আমি। গোলের উদযাপন এভাবে করতেই পছন্দ করি। এখানে বর্ণবাদের কোনো ব্যাপার নেই।’
কিং কংয়ের মতো উদযাপনের অনুপ্রেরণা এনড্রিক পেয়েছেন মুভি দেখেই। ব্রাজিলের ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার বলেন, ‘ইন্দিপেন্দিয়েন্তের বিপক্ষে এমনটা করেছিলাম। বেশ ভালোভাবেই সেটা গ্রহণ করা হয়েছিল। ভক্তদের কাছে গিয়ে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলতে থাকি। তাদের ডিফেন্ডার ম্যাথিয়াস সেটা বুঝেছে ও অন্য খেলোয়াড়েরা সেটা পছন্দ করেনি। বানরের মতো অনুসরণ করে উদযাপন করি। কারণ আমি প্ল্যানেট অব দ্য এপস মুভির ভক্ত। কিং কং মুভি পছন্দ করি। সে যা-ই হোক, আমি খুশি।’