মাঠের পারফরম্যান্সে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তো রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে চলছেন। কিন্তু তারকা এই ফরোয়ার্ডের রেকর্ড তো কেবল এক জায়গায় থেমে নেই। অর্থকড়ির দিক থেকেও তিনি গড়েছেন রেকর্ড। বিশ্বের প্রথম বিলিয়নিয়ার ফুটবলার বনে যাওয়া রোনালদোর নাম ফোর্বসের তালিকাতেও শীর্ষে।
বিশ্বের প্রথম ফুটবলার হিসেবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় রোনালদো নাম লিখিয়েছেন ৮ অক্টোবর। বর্তমানে তিনি ১.৪ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৬ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। এক সপ্তাহ পর এবার ফোর্বসের ২০২৫-২৬ মৌসুমের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলারদের তালিকাতেও শীর্ষে। ফোর্বস গতকাল সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখান থেকে তাঁর অর্থ-উপার্জনের ব্যাপারে জানা গেছে । মাঠ, মাঠের বাইরে সব মিলিয়ে ২০২৫-২৬ মৌসুমে রোনালদোর আয় ২৮ কোটি ডলার। বাংলাদেশি হিসেবে সেটা ৩৩৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
২০২৩ সাল থেকে আল নাসরে খেলছেন রোনালদো। একই বছর লিওনেল মেসি পাড়ি জমিয়েছেন ইন্টার মায়ামিতে। ইউরোপীয় ফুটবলে তাদের সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন আর দেখা না গেলেও প্রতিযোগিতা চলছে দারুণ। ফোর্বসের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ফুটবলারদের তালিকায় রোনালদোর পরেই অবস্থান করছেন মেসি। দুইয়ে থাকা মেসির আয় ১৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৫৭৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। রোনালদো-মেসির পর এই তালিকায় আছেন করিম বেনজেমা। এক সময়ে রিয়াল মাদ্রিদ সতীর্থ করিম বেনজেমা-রোনালদো সৌদি ফুটবলে গিয়ে বনে গেলেন প্রতিদ্বন্দ্বী। বেনজেমা খেলছেন আল ইত্তিহাদের হয়ে। রোনালদো, মেসি, বেনজেমাই ফোর্বসের তালিকায় থাকা মিলিয়ন ডলার আয় করা ফুটবলার। বেনজেমার আয় ১০.৪ কোটি ডলার (১২৬১ কোটি ১২ লাখ টাকা)।
সেরা ছয়ে থাকা অন্য তিন ফুটবলার ইউরোপীয় ফুটবলে দারুণ খেলছেন। যার মধ্যে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র খেলছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ফোর্বসের তালিকায় চারে থাকা এমবাপ্পের ২০২৫-২৬ মৌসুমে আয় ৯ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১৩৫২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ডের আয় ৮ কোটি ইউরো (১১৩৯ কোটি টাকা)। তিনি আছেন পাঁচ নম্বরে। ৬ কোটি ইউরো আয় করে ভিনি আছেন ছয় নম্বরে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তিনি বছরে ৮৫৪ কোটি টাকা আয় করেন।