মাসখানেক আগে ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে হারতে হয়েছে শেষ মুহূর্তের গোলে। সেই হারের কারণ দেখাতে গিয়ে সব ফুটবলারেরই একই ভাষ্য— ‘আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম।’ সেই ভুল থেকে বাংলাদেশ শিক্ষা নিতে পারেনি এবারও। ৫ বছর পর যখন নেপালের বিপক্ষে উঁকি দিচ্ছিল জয়। তখন শেষের ভুলে মাঠ ছাড়তে হয় ২-২ গোলের ড্র নিয়ে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে আজ পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর অসাধারণ দুটি গোলে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে ম্যাচের। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে স্বাগতিকদের রক্ষণের ভুলে সমতা ফেরায় নেপাল।
এমন ভুল এড়াতে শতবার অনুশীলন করেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তবু চিত্রটা বদলাতে পারছেন না ফুটবলাররা। তাহলে কি এটি মানসিক সমস্যা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘আমি বলব না এটা মানসিক সমস্যা। এমন পরিস্থিতির মোকাবিলায় শতবার অনুশীলন করেছি। কিন্তু যেকোনো কারণে আজ সেটা কাটাতে পারিনি। এমনটা হতে পারে, কিন্তু এটা সত্যি যে বারবার ঘটছে। আমরা ভিডিও বিশ্লেষণ করব, ভুলগুলো সংশোধন করব, এবং এখন যে চার দিন সময় আছে, ভারতের বিপক্ষে যেন এমন না হয়, সেই প্রস্তুতি নেব। ’
কাবরেরা আরও বলেন, ‘আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অনেক সময় এসব পরিস্থিতি আমরা ভালোভাবেই সামলাই, কিন্তু ফুটবলে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। প্রতিপক্ষও এসব নিয়ে কাজ করে। আমাদের কাজ হলো ভুলগুলো ঠিক করা এবং ভারতের ম্যাচে যেন এমন না হয় তা নিশ্চিত করা।’
প্রথমার্ধে একেবারেই গোছাল ফুটবল খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এর দায় কাবরেরা নিজের কাঁধে নিচ্ছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে ছিলাম, কিন্তু পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। হামজার দুটা গোলই ছিল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। আমি দায় স্বীকার করছি, আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম, বিশেষ করে প্রথমার্ধে। নেপালের মতো লো ব্লোক খেলা দলের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়।’