ভারতের বিপক্ষে পরশুর ম্যাচের আগেও জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন শমিত শোম। তবে আগে বাংলাদেশে এলেও পৈতৃক ভিটায় পা ফেলা হয়নি। এবার ভারতকে হারানোর পর নাড়ির টানে ছুটে এসেছেন তাঁর পৈতৃক ভিটা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার দক্ষিণ উত্তরসুর গ্রামে।
আজ বেলা ১১টার দিকে শমিত শোম গ্রামে এসে পৌঁছালে সাজ সাজ রব পড়ে যায় গ্রামে। তাঁকে দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকেও ছুটে আসে মানুষ। তাঁকে কাছে পেয়ে নিকটাত্মীয়দের আনন্দের শেষ ছিল না!
শমিত আসবেন বলে কয়েক দিন ধরে বাড়িটিতে তাঁকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। তাঁর ফুটবল খেলার ছবি দিয়ে ব্যানার বানিয়ে সেটি টাঙানো হয়েছিল। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শমিত শোম বললেন, ‘বাড়িতে (পৈতৃক ভিটা) এসে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। পরিবারের সবাইকে দেখে মন ভরে গেছে। গতকাল ভারতের সঙ্গে আমাদের ম্যাচ ছিল, আর আমরা জিতেছি, এটা ভেবে এখনো খুব আনন্দ লাগছে। একটু ক্লান্তি থাকলেও পরিবারের মানুষের ভালোবাসায় সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেছে।’
জাতীয় দলে খেলার পর এবারই প্রথম তাঁর গ্রামের বাড়িতে আসা বলে জানালেন শমিত, ‘আগে অনেকবার এসেছি, তবে জাতীয় দলে খেলার পর এটাই প্রথমবার। তাই এবারের অনুভূতিটা একদমই আলাদা। বাড়িতে এসে আলু ভাজা, পেঁপে ভাজা, ইলিশ ভাজা এসব খাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি। ছোটবেলায় ক্রিকেটসহ অনেক খেলাই খেলতাম, সেসব স্মৃতি এখনো মনে আছে।’
শমিত শোমের দাদাও ফুটবল খেলতেন। নিজের পরিবার নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘শুনেছি আমার দাদু মানিক শোম খুব ভালো ফুটবলার ছিলেন। অনেকে বলেন, যদিও তাঁকে খেলতে দেখার সুযোগ হয়নি। তারপরও ভাবতে ভালো লাগে যে আমার ফুটবলের প্রতিভা হয়তো পরিবার থেকে এসেছে।’
বাংলাদেশের ফুটবলে নিয়েও কথা বললেন শমিত, ‘আমাদের দলের পরিবেশ এখন খুব ভালো। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক। দলও এখন অনেক শক্তিশালী। দলে অনেক কম বয়সী খেলোয়াড় আছে, যারা ভবিষ্যতে জাতীয় দলের বড় ভরসা হবে। বাংলাদেশের ফুটবল আরও ওপরে উঠবে আমি বিশ্বাস করি।’