স্কোরলাইন বলবে আজারবাইজানের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। সেই গোলটি কে করেছেন সেটাও বলে দেবে। তবে তা কতটা সুন্দর ছিল তা হয়তো বর্ণনা করতে পারবে না। বাংলাদেশের হারের পরও তাই মারিয়া মান্দা তাঁর অসাধারণ গোলের মোহে ডুবিয়ে রেখেছেন সমর্থকদের।
জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মারিয়া গোলটি করেন ম্যাচের ৩৪ মিনিটে। এর আগপর্যন্ত ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। স্বপ্না রানীর কর্নার আজারবাইজান গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফিরিয়ে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। বল চলে যায় বক্সে থাকা মারিয়ার কাছে। দুর্দান্ত এক ভলিতে উঁচু কোনা দিয়ে জাল খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার। আজারবাইজান ফুটবলারদের তখন তাকিয়ে ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
একই ভেন্যুতে এমনই এক বিস্ময়কর গোল করেছিলেন। নেপালের বিপক্ষে ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ম্যাচে বাংলাদেশ পুরুষ দলের হয়ে গোলটি করেন হামজা চৌধুরী। সেই গোলের আগেও বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ১-০ গোলে। হামজা বাইসাইকেল কিকে আনেন সমতা। সেই গোল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নারী দলের মারিয়াও করলেন অভাবনীয় এক গোল।
ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমে মারিয়া বলেন, ‘জ্বী(অনুপ্রাণিত) ভাই যখন গোল দিয়েছিলো, তো আমরা খেলাটা দেখেছি। খুব ভালো লেগেছিলো। আমাদের সবসময় প্র্যাকটিস থাকে কিভাবে গোল করতে হবে। তো চেষ্টা করেছি এবং হয়ে গেছে।’
মারিয়া আরও বলেন, ‘আসলে অনেক সময় কিন্তু আপনার গোল খাওয়ার পরে কিন্তু দল একটু ভেঙে পড়ে । তো এরপরেও কিন্তু আমাদের দল ভেঙে পড়েনি। আর তাছাড়াও আমাদের বাইরে আমাদের সমর্থকেরা ছিলো। সমর্থণের জন্য আমরা আবার ম্যাচে ফিরে এসেছি এবং গোল দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
জাতীয় দলের হয়ে এবারই প্রথম গোলের দেখা পেলেন মারিয়া, ‘হ্যাঁ (ক্যারিয়ারের সেরা গোল)। আমি এই প্রথম আমি সিনিয়রে টিমের হয়ে গোল করেছি। তো ওই হিসেবেই আমার... চেষ্টা করেছি আমাদের সেরাটা দেওয়ার। তো খেলার পরিস্থিতিতে আসলে গোল হয়ে যায়।’