চোটের সঙ্গে লড়াই করতে করতেই তো সময় চলে যায় নেইমারের। মাঠেই যাঁকে খুব একটা দেখা যায় না, তাঁকে শুরুর একাদশে দেখা তো ‘অমাবশ্যার চাঁদ।’ ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড ৪৮১ দিন পর প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছেন। তবে কিছুই তিনি করতে পারেননি।
ক্যাম্পেওনাতো পাউলিস্তা টুর্নামেন্টে গত রাতে নেইমারের সান্তোসের প্রতিপক্ষ ছিল নভোরিজোন্তিনো। ড. হোর্হে ইসমাইল ডি বিয়াসি স্টেডিয়ামে নভোরিজোন্তিনো-সান্তোস ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। ম্যাচের ফলই বলে দিচ্ছে গোল, অ্যাসিস্ট কিছুই করতে পারেননি নেইমার। এটুকু দিয়েই অবশ্য তাঁর ব্যর্থতা বোঝার কোনো উপায় নেই। পরিসংখ্যানটা যদি আরও একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে দেখা যাবে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ৫৪ বার বল স্পর্শ করেছেন। সব মিলে ২৮ পাসের মধ্যে সফল পাস ২২টি। এমনকি ৭ বার ড্রিবলিংয়ের চেষ্টা করেও ব্যর্থ।
নভোরিজোন্তিনোর বিপক্ষে নেইমারকে নিয়েই একাদশ সাজিয়েছে সান্তোস। ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড মাঠে ছিলেন ৭৫ মিনিট। তাঁর বদলি হিসেবে এরপর মাঠে নামেন গ্যাব্রিয়েল বোন্তেমপো। ম্যাচে বোন্তেমপো পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো কিছু করতে পারেননি।
ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বলা হচ্ছে নেইমারের প্রসঙ্গে। দীর্ঘ এক যুগ পর শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফিরেছেন তিনি। তবে ফিরে এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেললেও জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। দুই ম্যাচের দুটিতেই ড্র করেছে তাঁর দল।
৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সময় সকালে ক্যাম্পেওনাতো পাউলিস্তা টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয়েছিল সান্তোস-বোতাফোগো। সেই ম্যাচ ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে বোন্তেমপোর পরিবর্তে নেমেছিলেন নেইমার। সান্তোসে দীর্ঘ ১ যুগ পর ফেরার ম্যাচে নেইমার হয়েছিলেন ম্যাচসেরা।