ইনিংস লম্বা করতে না পারা বা থিতু হয়েও বাজে শটে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসা বাংলাদেশের ব্যাটারদের পুরোনো রোগ। সিনিয়র অনেক ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অর্ধযুগ কাটিয়ে ফেলার পরও যখন এই রোগে আক্রান্ত, তখন আরোগ্যের উপায় দেখিয়ে দিলেন তৌহিদ হৃদয়। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই তরুণ প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে নবম ম্যাচ খেলতে নেমেই পেলেন ডাবল সেঞ্চুরির দেখা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ম্যাচে ২১৭ রানের মনমাতানো ইনিংস উপহার দিয়েছেন হৃদয়। প্রথম শ্রেণিতে এর আগে কোনো সেঞ্চুরি ছিল না তাঁর। প্রথমবার তিন অঙ্ক ছুঁয়ে সেটিকে রূপ দিলেন ডাবল সেঞ্চুরিতে। এবারের বিসিএলে এটিই প্রথম দ্বিশতক। এর আগে একই মাঠে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ১৭৬ রান করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন আলী।
উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে হৃদয়ের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে রানের ইমারত গড়েছে দক্ষিণাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে নাঈম ইসলাম-মার্শাল আইয়ুবদের ৩৮৫ রানের জবাবে আজ ম্যাচের শেষ দিন হৃদয়রা থেমেছেন ৪৯৯ রানে। ১১৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছে উত্তরাঞ্চল। অবিশ্বাস্য কিছু না ঘটলে ম্যাচের ভাগ্যে ড্র-ই অপেক্ষা করছে।
গতকাল তৃতীয় দিনেই দেড় শ পেরিয়ে গিয়েছিলেন বগুড়ার ছেলে হৃদয়। রান প্রসবা উইকেটে তাই ডাবল সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল আজ। শেষ দিনে নেমে নিজের ইনিংসটা অনায়াসে এগিয়ে নিতে থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটার। প্রথম সেশনেই ‘স্বপ্ন পূরণ’ করে ফেলেন তিনি। ৩৭৪ বলে স্পর্শ করেন ২০০ রানের ম্যাজিকেল ফিগার।
এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ম্যাচের আয়ু কমতে চলায় রান বাড়ানোর তাড়া ছিল। সেটি করতে গিয়ে সানজামুল ইসলামের বলে স্লগ সুইপে ছক্কা মারতে গিয়েছিলেন। বিদায় নেন টপ এজ হয়ে মার্শালের হাতে ধরা পড়ে। ৩৮৭ বলের ইনিংসটি ছিল ১৬টি চার আর ৪টি ছক্কায় সাজানো।