‘রুমের সঙ্গে ভালো একটা ব্যালকনি আছে বলে রক্ষা! এখানে বসলে সাগরের মনজুড়ানো বাতাস লাগে। অন্তত একেবারে রুমবন্দী থাকতে হচ্ছে না!’—ফোনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কোয়ারেন্টিনের অভিজ্ঞতা বলছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। মোস্তাফিজ আছেন দুবাইয়ের জেবেল আলি বিচ হোটেলে। রুম কোয়ারেন্টিন চলায় আপাতত দল থেকে বিচ্ছিন্নই থাকতে হচ্ছে বাঁহাতি পেসারকে।
একই অভিজ্ঞতা সাকিব আল হাসানেরও। বাঁহাতি অলরাউন্ডার আছেন আবুধাবির রিটজ-কার্লটন হোটেলে। তাঁর রুমের সঙ্গেও আছে দারুণ এক ব্যালকনি, যেখান থেকে দেখা মেলে চোখজুড়োনো এক খালের।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আজ আইপিএলের বাকি অংশ শুরু হলেও বাংলাদেশের দুই তারকার আসর শুরু হতে আরেকটু দেরি হতে পারে। সাকিবের রুম কোয়ারেন্টিনই শেষ হলো গতকাল। মোস্তাফিজের শেষ হবে আজ। কোয়ারেন্টিনের ধকল শেষে সাকিবের আগামীকাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে খেলা নিয়ে আছে সংশয়। গত মে মাসে আইপিএল স্থগিত হওয়ার আগে তাঁকে যেহেতু কলকাতা নিয়মিত খেলায়নি, আগামীকাল তাঁর খেলা নিয়ে তাই এখনই বলা কঠিন।
মোস্তাফিজের অবশ্য রাজস্থানের একাদশে থাকাটা খুব একটা কঠিন হবে না। স্থগিত হওয়ার আগে আইপিএলে দারুণ ছন্দে ছিলেন ফিজ। দলে বিদেশি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে জোফরা আর্চার, বেন স্টোকস, অ্যান্ড্রু টাই না থাকায় এই মুহূর্তে মোস্তাফিজের একাদশে থাকার সম্ভাবনাই বেশি। দল চাইলেও মোস্তাফিজ অবশ্য দ্রুত মাঠে নামতে আগ্রহী নন। একটু তৈরি হয়েই তিনি খেলতে চান।
সাকিব-মোস্তাফিজ যখনই খেলুন, দর্শকদের সঙ্গে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টেরও বিশেষ দৃষ্টি থাকবে এবারের আইপিএলে। অন্য সময়ে এ টুর্নামেন্টটা নিছকই ভারতের মনে হলেও এবার আইপিএলের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একটি বিশেষ যোগ আছে। আমিরাতেই যে হতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইপিএল খেলেই এবার নিজেদের তৈরি করতে চাইছেন তারকা ক্রিকেটাররা। যেহেতু টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্যও খুব বেশি বড় নয়, প্রতিটি দল গড়ে ৭–৮টা ম্যাচ খেলবে, খেলোয়াড়দের ক্লান্তি স্পর্শ করার সুযোগও কম।
আইপিএলে বাংলাদেশের দুজন খেলোয়াড় থাকলেও আরও একজন আছেন, যিনি মাঠে নয়, খেলবেন টেবিলে! সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরান। তিনি একই সঙ্গে বাংলাদেশ দলের কম্পিউটার বিশ্লেষকও। গতকাল হোয়াটসআপ বার্তায় বলছিলেন, এবার আইপিএল কতটা আলাদা হতে যাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো একই ভেন্যুতে আইপিএলের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ও তাদের দল কীভাবে সফল হচ্ছে এই কন্ডিশনে, অনেক কিছুই জানা যাবে।’ আর বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলছিলেন, ‘আমাদের দুজন খেলছে। যদি ছয়-সাতজন খেলত, আমাদের জন্য খুব ভালো একটা মঞ্চ হতো এই আইপিএল। ’