বিপিএল ২০২৫
কদিন আগে শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নানা কারণে বিতর্কিত হলেও একটি জায়গায় বিসিবি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে, সেটি হচ্ছে টিকিট বিক্রি। অন্য বিপিএলের তুলনায় এবার তাই গ্যালারিতে দর্শকদের উপস্থিতি অনেক বেশিই ছিল। ৪০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় দর্শকেরা যেমন টিকিট সহজ পদ্ধতিতে কিনতে পেরেছে, বিসিবিও আয় করতে পেরেছে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকিট।
অনলাইনে টিকিট কাটার সিস্টেম নিয়ে শুরুতে দর্শকদের কিছুটা ভোগান্তি হলে বিসিবি পরে দ্রুত সেটি সমাধান করেছে। টিকিট বিক্রি থেকে আয় নিয়ে আজ বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের মনে হয়েছিল আয় করার খুব ভালো একটা উৎস হচ্ছে টিকিট বিক্রি। বিশেষ করে বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট থেকে। আমরা এবার সফলভাবেই টিকিট বিক্রি করেছি। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গিয়েছি। বিশ্বকাপের মতো টিকিট বিক্রি করেছি।’
কত টাকা আয় হয়েছে, সেটি জানিয়ে দিয়েছেন ফারুক। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘পুরো বিপিএলে ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছি। আগের ১০ এডিশনে মোট ১৫ কোটি টাকার মতো টিকিট বিক্রি করতে পেরেছিল ক্রিকেট বোর্ড। সেটি বিবেচনা করে এক বছরেই আমরা কাছাকাছি চলে গেছি। টিকিট বিক্রির স্বত্ব বিক্রি থেকে আরও ১ কোটি টাকা যোগ হবে। সে হিসেবে সোয়া ১৩ কোটি টাকা টিকিট বিক্রি থেকে আসবে। এটা বড় মাইলফলক।’
টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিদের একটি সুখবরও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য সুখবর, টিকিট বিক্রির যে আয় আমাদের হয়েছে, এখান থেকে ভালো একটা ভাগ সব ফ্র্যাঞ্চাইজিকে দিতে পারব।’
কদিন আগে আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্যার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছিলেন, তাঁর কাছে গত তিন বিপিএলের মধ্যে এটাই সেরা মনে হয়েছে। অ্যামব্রোসের সেই কথা টেনে ফারুক জানিয়েছেন, আগামী বিপিএল সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে এখনই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তাঁরা এমন একটা সূচি খুঁজছেন যেটিতে আন্তর্জাতিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে বিপিএলের সূচি সাংঘর্ষিক হবে না।