নাম, ব্যাটিং পজিশন, ব্যাটিং অর্ডার—দুজন ক্রিকেটারের মধ্যে এত মিল অবশ্য কমই দেখা যায়। এখানে বলা হচ্ছে তামিম ইকবাল ও তানজিদ হাসান তামিমের কথা। দুজনেই বাঁহাতি ওপেনার। যেখানে এবারের বিশ্বকাপের দলে নেই সিনিয়র তামিম। তাঁর পরিবর্তে খেলছেন তামিম জুনিয়র। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গতকাল প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি ওপেনার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তানজিদ তামিমের পথচলা শুরু হয়েছে এ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে হওয়া এশিয়া কাপ দিয়ে। এরপর খেলেছেন ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ। তবে প্রতিভার ঝলক তিনি দেখাতে পারেননি। ৫ ওয়ানডেতে ৮.৫ গড়ে করেছেন ৩৪ রান। সর্বোচ্চ ১৬ রান করেছেন কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ শেষে তামিম ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলে। বিশ্বকাপের আয়োজক ভারতে তাঁর পরীক্ষা হয় গতকাল গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে। ২৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিতে অবদান রেখেছেন তিনি। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে তামিম-লিটনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ৫৪ রান। উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ১৩১ রান।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তামিম। ৫৩ বলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। লিটন আউট হওয়ার পরও নিজের সাবলীল খেলা খেলেছেন তামিম। পুল শট, কাভার ড্রাইভ, স্কয়ার কাট—ক্রিকেটের ব্যাকরণগত শটগুলোতে ছিল শিল্পীর ছোঁয়া। একটা সময় মনে হচ্ছিল, সেঞ্চুরি করে ফেলবেন তামিম। তবে সেঞ্চুরির কাছাকাছি এসে আউট হয়েছেন তিনি। ৮৮ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৮৪ রান করেছেন তামিম। যে বলে আউট হয়েছেন, সেটাতে ফিল্ডারের কৃতিত্বই বেশি। মিড অফে লাফ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছেন শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা।