টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বোলিং কোচ নিয়োগ দিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। পাকিস্তানের সাবেক পেসার আকিব জাভেদকে ফাস্ট বোলিং কোচের দায়িত্ব দিয়েছে এসএলসি। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।
ওয়াসিম আকরাম-ওয়াকার ইউনিসদের সময়ে জন্ম হওয়ায় খেলোয়াড়ি জীবনে তাঁদের ছায়া হয়েই থাকতে হয়েছে জাভেদকে। এতে পাকিস্তানের হয়ে ১৬৩ ওয়ানডে এবং ২২ টেস্টের বেশি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। তবে কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ তাঁর। সেই অভিজ্ঞতাই কাজে লাগাতে চায় শ্রীলঙ্কা। খুব শিগগিরই দলের সঙ্গে জাভেদ যোগ দেবেন বলে জানিয়েছে এসএলসি। সেদিক থেকে বাংলাদেশ সফরের বাকি অংশে তাঁকে দেখা যেতে পারে।
৫১ বছর বয়সী জাভেদকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলে ডি সিলভা বলেছেন, ‘আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে আকিবকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিশ্বাস করি যে, খেলোয়াড় এবং কোচ হিসেবে তাঁর যে অভিজ্ঞতা, তা ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্টে আমাদের বোলারদের ভালো করতে সহায়তা করবে। যেমন আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে করবে।’
খেলোয়াড়ি জীবনের চেয়ে কোচিং ক্যারিয়ারটা বেশ সমৃদ্ধ জাভেদের। চলমান পিএসএলে লাহোর কালান্দার্সের ডিরেক্টর অব ক্রিকেট অপারেশন এবং প্রধান কোচের দায়িত্বে ছিলেন জাভেদ। তবে দলকে শেষ চারে ওঠাতে পারেননি তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে না পারলে কী হবে, তাঁর অধীনে জাতীয় দলগুলো বেশ সাফল্য পেয়েছে। উমর গুল-শহীদ আফ্রিদিদের বোলিং কোচের দায়িত্বে থাকার সময় ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। তাঁর অধীনে ২০০৪ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
শুধু নিজ দেশকেই নয়, আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দলকেও সাফল্য এনে দিয়েছেন জাভেদ। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী পেসার সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধান কোচ থাকার সময় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির মর্যাদা পায় দলটি। তাঁর সময়ই ২০১৪ টি-টোয়েন্টি ও ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগও পায় আরব আমিরাত।