বগুড়ায় ২৮ অক্টোবর সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের পর জিততেই যেন ভুলে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। জেতা যেন দূরে থাক, আফগানদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারছে না আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সবশেষ দুই ওয়ানডেতে আফগান যুবাদের কাছে বাজেভাবে হারলেন তামিমরা।
ডাকওয়ার্থ লুইস এন্ড স্টার্ন মেথডে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ রানে জয়ের পর বাংলাদেশের যুবারা সিরিজে আর জয়ই পায়নি। সেই বগুড়ায় এরপর সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়ানোর আগেই পরিত্যক্ত হয়েছে। ভেন্যু বদলে এরপর সিরিজের তিন ওয়ানডে চলে যায় রাজশাহীতে। কিন্তু নতুন ভেন্যুতে এসে দাঁড়াতেই পারছে না বাংলাদেশ। পরশু তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানরা জিতেছে ১০২ রানে। সেই রাজশাহীতে আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে ৪৭ রানে হেরে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে তামিমের বাংলাদেশ। ১০০ রানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার মতো যে লজ্জাজনক অবস্থায় পড়তে গিয়েছিল বাংলাদেশ, সেই অবস্থা থেকেই শুধু উদ্ধার হয়েছে স্বাগতিকেরা।
২৫৯ রানের লক্ষ্যে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চোখে সর্ষেফুল দেখতে থাকেন আফগানিস্তানের আগুনে বোলিংয়ে। ৭.৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৪০ রানে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা। কত দ্রুত ম্যাচ জিততে পারে, আফগানরা ছিল সেই অপেক্ষাতেই। কিন্তু সফরকারীদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান দেবাশীষ সরকার দেবা ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। সপ্তম উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়েন দেবাশীষ-আব্দুল্লাহ। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে দেবাশীষকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন নুরিস্তানি ওমরজাই। আট নম্বরে নেমে ৬১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৫১ রান করেন দেবাশীষ।
দেবাশীষ আউট হওয়ার পর বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৩২.১ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৮ রান। হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ১০৭ বলে ১১১ রানের সমীকরণ মেলানোর সম্ভাবনা তখনো টিকে ছিল স্বাগতিকদের সামনে। উইকেটে একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে ছিলেন আব্দুল্লাহ। তবে ৬.২২ রানরেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনি সেভাবে খেলতে পারেননি। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আব্দুল্লাহ স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েছেন নাজিফুল্লাহ আমিরিকে তুলে মারতে গিয়ে। ১৬০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় আব্দুল্লাহ করেন ৯৫ রান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশ আটকে যায় ৯ উইকেটে ২১১ রানে। আফগানিস্তানের আব্দুল আজিজ খান ৬.২ ওভারে ২৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আজ চতুর্থ ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মাহবুব খান। ইনিংস সর্বোচ্চ ১১২ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফয়সাল শিনোজাদা। ১১৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ১০ চার ও ৪ ছক্কা। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ২৫৮ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা। যেখানে ২৭ রান যোগ করতে শেষ ৬ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। বাংলাদেশের ইকবাল হোসেন ইমন ৯.৩ ওভারে ৫১ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। পরশু রাজশাহীতে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান।