শুরুর দিকে যে ম্যাড়ম্যাড়ে ভাব দেখা দিয়েছিল, বিশ্বকাপে সেটি এখন আর নেই। একদিনের ব্যবধানে দুটি অঘটন—শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা দলগুলোও এখন নড়েচড়ে বসেছে। গত রোববার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চমকে দেয় আফগানিস্তান। গতকাল উড়তে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাটিতে নামায় নেদারল্যান্ডস।
তেমন আরেকটি অঘটনের অভিপ্রায়ে আজ চেন্নাইয়ে চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে টসে জিতে গত দুই বিশ্বকাপের রানারআপ নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। শুরুতে কিউইদের চাপেও ফেলে দিয়েছিল তারা। চোটের কারণে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন না থাকায় এই ম্যাচে আবারও জায়গা পান উইল ইয়ং। সুযোগটা তিনি কাজে লাগিয়েছেন।
তবে ডেভন কনওয়ে ফেরেন দলীয় ৩০ রানে। মুজিব-উর-রহমানের ঘূর্ণির সামনে এলবিডব্লু হয়ে ব্যক্তিগত ২০ রান নিয়ে ফেরেন কিউই ওপেনার। এরপর রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে বেশ ভালো জুটিই গড়েন ইয়ং। তাদের ৮৩ বলে ৭৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রাচিনকে (৩২) বোল্ড করেন আফগান পেসার। একই ওভারের শেষ বলে ফিফটি পাওয়া ইয়ংকেও (৫৪) ফেরান ওমরজাই।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ১০৯-এর সঙ্গে ১ রান যোগ হতেই বিদায় নেন ড্যারিল মিচেলও। ইনিংসের ২২ তম ওভারে রশিদ খানকে উইকেট উপহার দেন তিনি। সেখান থেকে বড় জুড়ি গড়েন অধিনায়ক টম লাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। নাভিন-উল-হকের বলে দুজনেই ফেরার আগে পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১৪৪ রানের জুটি। সেটিই কিউইদের ৬ উইকেটে ২৮৮ রানের সংগ্রহ এনে দেয়।
লাথাম ৭৪ বলে ৬৮ ও ফিলিপস করেন ৮০ বলে ৭১ রান। শেষদিকে ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিও উপহার দেন মার্ক চাপম্যান। আরেক অপরাজিত থাকা ব্যাটার মিচেল স্যান্টনার করেন ৭ রান।
কিউইদের এই স্কোরের পেছনে বড় অবদান আফগানদের বাজে ফিল্ডিংংয়েরও। বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে তারা। স্লগ ওভারে বাউন্ডারিতে ফিলিপসের ক্যাচ ছাড়েন রশিদ খানও।