অবিশ্বাস্য কিছু করে না ফেললে সেন্ট লুসিয়া টেস্টে বাংলাদেশের হার অবধারিত। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ৪২ রানে পিছিয়ে থাকায় ইনিংস হারের শঙ্কাও জেগেছে বোলাররা নিজেদের কাজ ঠিকঠাক করলেও ব্যাটাররা ‘ধারাবাহিকভাবে অধারাবাহিক’ হওয়াটাই কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
গতকাল তৃতীয় দিনে বোলিংয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন খালেদ আহমেদ। প্রথমবার টেস্টে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। বিদেশে ষষ্ঠ বাংলাদেশি পেসার হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন তিনি। আর উইন্ডিজের বিপক্ষে ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়া একমাত্র বাংলাদেশি পেসার। ২৯ বছর বয়সী খালেদ ত্রাস হয়ে ওঠা কাইল মেয়ার্সকে না ফেরালে স্বাগতিকদের লিড আরও বাড়তে পারত।
তবে নিজের বিশেষ অর্জনে খুশি হলেও দলের দৈন্য দশায় হতাশ খালেদ। কাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বিসিবির পাঠানো ভিডিও বার্তায় উঠে এসেছে তাঁর সরল স্বীকারোক্তি।
‘সিলেটের বুলেট’ খ্যাত খালেদ বলেছেন, ‘সব খেলোয়াড়ের ইচ্ছা থাকে মাইলফলকে যাতে দলের লাভ হয়। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ভালো সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি না। দেখবেন, সামনে অনেক কিছুই ভালোভাবে যাচ্ছে।’
বারবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করা ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। অনভিজ্ঞরা তো বটেই, সিনিয়র ক্রিকেটারদের দৃষ্টিকটুভাবে আউট হওয়া ও দলকে বারবার বিপদে ফেলায় ২২ বছরেও টেস্টে পরিপক্বতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখনো যেন তাঁরা লাল বলের ক্রিকেটের পাঠশালায় ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্র! খালেদের কথায় অন্তত সেরকমই মনে হয়েছে, ‘সবাই জান-প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে কীভাবে নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরা যায়। কিন্তু হচ্ছে না।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে খালেদের ভাষ্য, ‘প্রতিটি উইকেট আমার জন্য বিশেষ ছিল। যেহেতু প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছি। বিশেষ করে মেয়ার্সের উইকেট ছিল অনেক কষ্টের ফল। আগের দিন থেকেই ওকে আউট করার চেষ্টা করছিলাম। আজকে (গতকাল) স্লোয়ার বলে পরাস্ত করতে পেরেছি। পরিকল্পনা করে ওকে আউট করতে পারায় ভালো লেগেছে।’