২০২৩ বিশ্বকাপে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য ভারত। এই টুর্নামেন্টে তারা একটা ম্যাচও হারেনি। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং—তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা ভারতের সঙ্গে পেরে উঠছে না কোনো দলই। বিশ্বকাপের আয়োজক দল গড়ে চলেছে একের পর এক রেকর্ড। নিজেদের রেকর্ড তো ভারত ভেঙে ফেলেছেই, এবার তাদের সামনে বাকি শুধুই অস্ট্রেলিয়া।
চেন্নাইতে অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ভারতের ২০২৩ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু। এরপর আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ-এশিয়ার এই তিন দলের বিপক্ষেও সফলভাবে রান তাড়া করে জিতেছে রোহিত শর্মার ভারত। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ২০ বছরের জুজু দূর করেছে রোহিতের দল। শেষ চার ম্যাচে ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডসকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। এবারের বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছেন রোহিত, বিরাট কোহলিরা। তাতে নিজেদের করা ২০ বছরের আগের রেকর্ড ভেঙে গেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপে টানা ৮ ম্যাচ জিতেছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর নেতৃত্বাধীন ভারত। প্রথমবার সেমিফাইনাল খেলা কেনিয়াকে হারিয়ে এই কীর্তি গড়েছিল ভারত।
টানা ৯ ম্যাচ জয়ী ভারতের সামনে রয়েছে অনন্য এক রেকর্ড গড়ার সুযোগ। পরশু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারলে সংখ্যাটা ১০ পর্যন্ত নিতে পারবে ভারত। এরপর ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন হলে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের কীর্তি গড়বে তারা। নকআউট রাউন্ডের বাধা টপকাতে পারলে ভারত ছুঁয়ে ফেলবে অস্ট্রেলিয়াকে। ২০০৩ ও ২০০৭-টানা দুই বিশ্বকাপে ১১টি করে ম্যাচ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া সেই দুই বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল। ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম দল হিসেবে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়েছিল অজিরা।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গতকাল ১৬০ রানে জিতে নিজেদের রেকর্ডেই ভাগ বসিয়েছে ভারত। এ বছর ২৪ ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছে ভারত। ১৯৯৮ সালেও ২৪ ওয়ানডে জিতেছিল তারা। আর ২০১৩ সালে ভারতীয়রা জিতেছিল ২২ ওয়ানডে।
এক বিশ্বকাপে টানা ম্যাচ জয়ের রেকর্ড:
১১; অস্ট্রেলিয়া; ২০০৩
১১; অস্ট্রেলিয়া; ২০০৭
৯; ভারত; ২০২৩
৮; ভারত; ২০০৩
৮; নিউজিল্যান্ড; ২০১৫
এক বছরে ভারতের সর্বোচ্চ ওয়ানডে জয়:
২৪; ২০২৩
২৪; ১৯৯৮
২২; ২০১৩