আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি
ফাইনালের উইকেট নিয়ে ধোঁয়াশায় নিউজিল্যান্ড। গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে যে উইকেটে খেলেছিল কিউইরা, সেটি তাদের কাছে মনে হয়েছিল বেশ ধীরগতির ও বেশি স্পিন সহায়ক। কিন্তু দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের যে পিচে আবার সেমিফাইনাল খেলেছে, সেটিকে বেশি ধীরগতির ও স্পিন সহায়ক মনে হয়নি নিউজিল্যান্ডের। তাই রোববারের ফাইনালের উইকেট কেমন হবে, তা নিয়ে দ্বিধান্বিত নিউজিল্যান্ড।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রেকর্ড ৩৬২ রান তুলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের তারকা ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র তো বলেই ফেললেন, ‘জানি না দুবাইয়ের উইকেট কেমন হবে। ভারতের বিপক্ষে আগের ম্যাচে উইকেটে টার্ন ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া-ভারত সেমিফাইনালে আবার উইকেটে তেমন টার্ন ছিল না।’ তাই রাচিনদের করণীয় এখন একটাই, ‘আমরা পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ওপর জোর দিচ্ছি।’
দুবাইয়ের পিচ ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন দলটির অলরাউন্ডার ড্যারিল মিচেলও, ‘পিচ ও কন্ডিশন যে রকমই হোক না কেন, আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো নিজেদের পক্ষে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’
গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ স্পিনার নিয়ে খেলেছিল ভারত। একা বরুণ চক্রবর্তীই নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমিফাইনালে পিচ বেশি টার্ন না করলেও ভারতের স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণ কার্যকারিতা দেখায়। দুই ভেন্যুর উইকেট এবং কন্ডিশনের পার্থক্যটা মাথায় আছে কেন উইলিয়ামসনেরও। চলতি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুবাইয়ে সর্বোচ্চ স্কোর হয়েছে ২৬৭/৬, যা ভারত করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু পাকিস্তানের মাটিতে ৮টি স্কোরই ছিল ৩০০ পেরোনো। তাই পিচ ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার তাগিদ উইলিয়ামসনের, ‘দুই ভেন্যুর কন্ডিশন ভিন্ন ভিন্ন। তাই আমাদের উচিত ইতিবাচক দিকগুলো মাথায় রেখে ফাইনালে কীভাবে খেলতে হবে তা স্পষ্ট হওয়া।’
ফাইনালে ভারতকে হারাতে আগের ম্যাচ থেকেও শিক্ষা নেওয়ার কথা বলছেন উইলিয়ামসন, ‘ভারত অসাধারণ একটা দল এবং দুর্দান্ত খেলছে তারা। তাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ফাইনালে যেকোনো কিছুই হতে পারে। সেই ম্যাচ ভুলে ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের।’