বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে ২০২৩ সালে আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। পরের দুই বছরে কত সময় গড়িয়ে গেছে। অবশেষে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ফুরোল বাংলাদেশের অপেক্ষা।
আইসিসির ২০২৫-এর এপ্রিলের মাসসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন মিরাজ। ব্যাটিং-বোলিংয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেছনে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে। পুরস্কার পেয়ে মিরাজ বলেন, ‘আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার পাওয়া আমার কাছে অনেক সম্মানের। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই আইসিসির স্বীকৃতি পাওয়া অনেক বড় কিছু। বৈশ্বিক ভোটে সেরা হওয়ার ব্যাপারটাই আলাদা।’
তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে মিরাজ আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার পেলেন। তাঁর আগে সাকিব-মুশফিক পেয়েছেন আইসিসির এই পুরস্কার। ২০২১ সালের মে মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির মাসসেরার পুরস্কার জেতেন। সাকিব এই পুরস্কার জিতেছেন দুইবার। ২০২১ সালের জুলাই মাসের সেরা ক্রিকেটার হয়ে প্রথমবার এই পুরস্কার পান তিনি। এরপর ২০২৩-এর আইসিসির মার্চের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন।
২০২৫-এর এপ্রিল মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টে ১৫ উইকেটের পাশাপাশি ১১৬ রান করেছেন মিরাজ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠের টেস্ট সিরিজে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের পুরস্কার পান তিনি। এক মাস পর আইসিসির এপ্রিলের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়ে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার বলেন,‘আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। এই পুরস্কার আমাকে বাংলাদেশের হয়ে বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে ভালো করার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এমন মুহূর্ত আমাকে ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টসেরা ক্রিকেটার হওয়ার স্মৃতি মনে করিয়ে দিচ্ছে।’
মিরাজের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী বেন সিয়ার্স, ব্লেসিং মুজারাবানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এপ্রিলে পেয়েছেন ১০টি করে উইকেট। মুজারাবানি বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টে পেয়েছেন উইকেটগুলো। আর সিয়ার্স পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ওয়ানডে খেলে পেয়েছেন ১০ উইকেট। নিউজিল্যান্ডের এই পেসার টানা দুই ম্যাচে পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছেন।
আইসিসির ২০২৫-এর এপ্রিলের সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রাইস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক হেইলি ম্যাথুস ও পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে টপকে এই পুরস্কার পেয়েছেন ব্রাইস।