ডারবান টেস্টের তৃতীয় দিনে সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। আগের দিন মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ম্যাচের এখনো অনেক কিছু বাকি আছে। সতীর্থের কথার যথার্থতা প্রমাণ করেছেন জয়। এই ওপেনারের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংস বাংলাদেশ থেমেছে ২৯৮ রানে। দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে বাংলাদেশ ৭৫ রানে পিছিয়ে থাকলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এখনো নিজেদের দিকে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
কাল দিনের খেলা শেষে সিডন্স জানিয়েছেন, প্রথম সেশনে ভালো করতে পারলে ম্যাচে ফেরা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘চতুর্থ দিনে প্রথম সেশনে ৩-৪ উইকেট তুলে নিতে পারলে আমরা ম্যাচে ফিরব। বেশি আক্রমণাত্মক হতে গেলে তারা দ্রুত রান করবে, এতে ম্যাচ আমাদের আরও দূরে চলে যেতে পারে। আমরা একটু পিছিয়ে আছি, তাই বেশি রান দেওয়ার সুযোগ নেই। মনে হচ্ছিল, এটা ২৮০-৩০০ রানের উইকেট। যে ৬০ রান বেশি দিয়েছি, সেটা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অর্থাৎ, প্রথম সেশনে কিছু উইকেট লাগবে।’
একই সঙ্গে সিডন্স সতর্কও করেছেন। তাঁর মতে, প্রথম সেশনে প্রতিপক্ষের চাপ সৃষ্টি না করা গেলে পিছিয়ে পড়তে হবে। তখন তাকিয়ে থাকতে হবে আবহাওয়ার দিকে, ‘ওরা যদি প্রথম সেশনে ৮০-৯০ রান করে ফেলে, তাহলে আমরা বেশ পেছনে পড়ে যাব। তখন ম্যাচ বাঁচানোর জন্য আবহাওয়ার দিকে তাকাব। আলোকস্বল্পতার কারণে কিছু ওভার কম হয়েছে এরই মধ্যে। আজও (গতকাল) সাড়ে ৩টার দিকে খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।’
ডারবানের উইকেটে দ্বিতীয় দিন থেকেই স্পিনাররা সহায়তা পাচ্ছেন। ফাস্ট বোলারদের বলও প্রত্যাশামতো উচ্চতায় ব্যাটে আসছে না। অর্থাৎ ধীরে ধীরে ব্যাটিং করাটা কঠিন হবে। এদিকে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পিছিয়ে আছে। সিডন্সের ভাবনায় তাই জয়ের চেয়ে ড্রয়ের ইঙ্গিতই বেশি মিলছে, '২৫০ রান তাড়া করাও অনেক কঠিন হবে। বল টার্ন করা শুরু করেছে। শান্ত আমাদের সেরা স্পিনারদের কেউ নয়, সেও আজ (গতকাল) হাত ঘুরিয়েছিল। গতকাল (পরশু) ও আজ (গতকাল) স্পিনাররা ভালো করেছে। আমরা তাড়া করতে নামলে মহারাজকে সামলানো খুব কঠিন হবে। ফাস্ট বোলারদের বল আজ (গতকাল) থেকে নিচু হয়ে আসছিল। আমরা ৬৯ রানে পিছিয়ে না থাকলে এখন জয়ের কথা ভাবতে পারতাম।’