বাবর আজম লং অনে ক্যাচ ধরতেই এসে গেল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। রাওয়ালপিন্ডিতে জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি ব্যাটার ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক তুলে নেন উসমান তারিক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক করে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন তারিক।
রাওয়ালপিন্ডিতে গত রাতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ৬৯ রানে হারিয়ে পাকিস্তান কেটেছে ফাইনালের টিকিট। ৪ ওভারে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তারিক। এক ওভার মেডেনও দিয়েছেন। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনা তাঁর হ্যাটট্রিক নিয়ে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি স্পিনার বলেন, ‘হ্যাটট্রিক করে আমার অনেক ভালো লাগছে। আশা করি এই ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও ধরে রাখব।’
রাওয়ালপিন্ডিতে গতকাল ১৯৬ রানের লক্ষ্যে নামা জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৯.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৬০ রান। দশম ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে টনি মুনিয়ঙ্গা, তাশিঙ্গা মুসিকিউয়াকে ফেরালে আরও চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে নিজের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে (দশম ওভারের চতুর্থ বল) বড় শট খেলতে যান মাসাকাদজা। এজ হওয়া বল লং অনে ধরতেই হয়ে যায় তারিকের হ্যাটট্রিক। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারিক বলেন, ‘সত্যি বলতে হ্যাটট্রিকটা আমি আশা করিনি। তবে ধন্যবাদ ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। সে বড় শটের জন্য গিয়েছে। সালমান আলী আঘাকে কৃতিত্ব দিচ্ছি। তিনি আমাকে ভরসা দিয়েছেন।’
প্রথাগত স্পিনারদের চেয়ে তারিকের বোলিং অ্যাকশন একটু আলাদা। প্রথমে বোলিং করতে এসে একটু থামেন। এরপর একটু সময় নিয়ে হাত থেকে বলটা ছোড়েন। মাঝে যে সময়টা ব্যয় হয়, তাতে ব্যাটাররা অনেক সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান। ব্যতিক্রমী ঘরানার বোলিং অ্যাকশন প্রসঙ্গে পাকিস্তানি স্পিনার বলেন, ‘এ ধরনের বোলিংয়ের ক্ষেত্রে শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে হবে এবং সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কোচদের সঙ্গে এটা নিয়ে অনেক কাজ করেছি। পেশোয়ারে আমার দুই কোচ আসলাম কুরেশি ও জোয়া খান অনেক সহায়তা করেছেন।’
রাওয়ালপিন্ডিতে আগামীকাল ত্রিদেশীয় সিরিজে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে। লঙ্কানদের জন্য এটা বাঁচা-মরার ম্যাচই বলতে হবে। কারণ, এখন পর্যন্ত তারা জয়ের মুখ দেখেনি। লঙ্কানদের নেট রানরেট -২.৬৭৯। জিম্বাবুয়ে এক ম্যাচে জিতে ২ পয়েন্ট পেলেও তাদের নেট রানরেট -০.১৮৩। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে গতকাল পাকিস্তানের চতুর্থ বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েছেন তিনি। ২০১৭ সালে ফাহিম আশরাফ হ্যাটট্রিক করেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। মোহাম্মদ হাসনাইনও এই কীর্তি লঙ্কানদের বিপক্ষে করেন ২০১৯ সালে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।