খেলোয়াড়ি জীবনে শোয়েব আখতার ছিলেন প্রতিপক্ষ দলের জন্য মূর্তিমান আতঙ্কের আরেক নাম। তাঁর গতিময় বোলিং সামলাতে হিমশিম খেতে হতো বাঘা বাঘা ব্যাটারদের। এমন কথাও প্রচলিত আছে, সাবেক পেসারের সামনে ব্যাট করতে পা কাঁপতো অনেকের। শোয়েবের গতি সামাল দিতে না পেরে মাঠেই বড় ধরনের আঘাত পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে অনেকবার।
যাঁকে নিয়ে ব্যাটারদের এত ভয় ছিল, সেই শোয়েব আখতারও একজনকে ভীষণ ভয় পেতেন। তিনি সাবেক পেসারের মা হামিদা আওয়ান। ভয় পাওয়ার পাশাপাশি মাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন শোয়েব। তাই সব সময় মায়ের হুকুম মেনে চলতেন। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান হামিদা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন শোয়েব।
আরও আগেই ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন শোয়েব। বিদায় বললেও ক্রিকেট থেকে দূরে নেই তিনি। কখনো টিভি চ্যানেলে বিশ্লেষক আবার কখনো পরামর্শ হিসেবে কাজ করতে দেখা যায় তাঁকে। পাশাপাশি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিকেট নিয়ে সমসাময়িক আলোচনা-সমালোচনা করেন। এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ঢাকা ক্যাপিটালসের মেন্টরের দায়িত্ব পালন করছেন শোয়েব। ক্যাপিটালস শিবিরে যোগ দেওয়ার পর এক প্রশ্নোত্তর পর্বে হাজির হন শোয়েব। সেখানেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রয়াত মায়ের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
শোয়েব বলেন, ‘আমি আমার মাকে সবচেয়ে বেশি ভয় পেতাম। আমি তাকেই সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতাম এবং সবচেয়ে বেশি ভয়ও পেতাম। যখনই তিনি আমাকে কিছু করতে বলতেন, কখনোই না বলতে পারতাম না। তাই সবসময় তাঁর কথা শুনতাম এবং নিশ্চিত করতাম যে কখনো যেন মাকে না বলতে না হয়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি সবসময় তাঁর কথা শুনেছি। মাকে যতটা ভয় পেতাম, তার চেয়েও বেশি ভয় পাই আল্লাহকে।’