ঘরের ছেলে বলে কথা। রবীচন্দ্রন অশ্বিনও চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দেখিয়েছেন তাঁর ক্যারিশমা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে হয়েছেন ম্যাচসেরা। তবে এই বিশাল জয়ের পরও নিজেকে নিয়ে বড়াই করেননি ভারতের এই স্পিনার।
সিরিজের প্রথম টেস্টে চেন্নাইয়ে বাংলাদেশকে ২৮০ রানে হারিয়েছে ভারত। প্রথম ইনিংসে অশ্বিন কোনো উইকেট পাননি ঠিকই। তবে বোলিং ভেলকি দেখাতে যে দ্বিতীয় ইনিংসকেই বেছে নিয়েছিলেন। ঘূর্ণিজাদুতে ৮৮ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট। সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের এই ছয় ব্যাটারকে ড্রেসিংরুমে ফিরিয়েছেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি অশ্বিনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তো রয়েছেই।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের পর অশ্বিন কথা বলেছেন ধারাভাষ্যকার তামিম ইকবাল,আর মুকুন্দ ও পার্থিব প্যাটেলের সঙ্গে। ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্বিন বলেন, ‘এই টেস্টে কতটা অবদান রেখেছি, সেটার ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। বড় দায়িত্ব আছে আমার এখানে। আমি এখানে হরভজনের জায়গা নিতে এসেছি। জুনিয়র ক্রিকেট খেলার সময়ই হরভজনের অ্যাকশন কপি করতাম। তিনি আমার অনুপ্রেরণা।’
চেন্নাইয়ে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পেয়ে ভারত রীতিমতো বিপদে পড়ে। বাংলাদেশের বোলারদের আক্রমণে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানে পরিণত হয়। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ১৯৯ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন অশ্বিন। ১৩৩ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায় ১১৩ রান করেন অশ্বিন। টেস্টে এটা তাঁর ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে সবশেষ দুটি সেঞ্চুরিই এসেছে চেন্নাইয়ে। বাংলাদেশ টেস্টের পর অশ্বিন বলেন,‘বোলিংটা আমার কাছে মূল প্রাধান্যের ব্যাপার। ব্যাটিংটা আপনাআপনি চলে আসে। তবে ব্যাটিংয়ে গত কয়েক বছর মনোযোগী হয়েছি।’