২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপে রূপকথার গল্প লিখেছে মরক্কো। প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলেছেন ‘অ্যাটলাস সিংহরা’। যেখানে ম্যাচ জয়ের পরই ফুটবলাররা তাঁদের মায়েদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এবার আশরাফ হাকিমি ও তাঁর মায়ের ম্যুরাল আঁকা হয়েছে বার্সেলোনায়।
হাকিমি ও তাঁর মায়ের ম্যুরাল এঁকেছেন চিলির এক চিত্রশিল্পী দিয়েগো নাদিমিদিকার্তি। মরক্কোর ডিফেন্ডার ও তাঁর মায়ের ছবিটি মূলত দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচের পর। ৬ ডিসেম্বর এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে পেনাল্টি শ্যুটআউটে স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টারে পৌঁছায় মরক্কো। জয়ের পর দৌড়ে গিয়ে উদ্যাপনটা করেছিলেন গ্যালারিতে বসে থাকা মায়ের সঙ্গে। চুমু দিয়ে ভালোবাসা নিংড়ে দিয়েছেন মাকে ঘিরে। ছেলের গালেও চুমু দিয়েছিলেন মা। আশপাশের সমর্থক আর ক্যামেরাম্যানরা তখন এই নিখাদ ভালোবাসার দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করতে ব্যস্ত ছিলেন।
হাকিমির ফুটবলার হওয়ার গল্পটা অনেক সংগ্রামের। স্পেনে জন্মগ্রহণ করলেও সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মগ্রহণ করেননি এই ফুটবলার। হাকিমির পরিবার ছিল হতদরিদ্র। অসচ্ছল পরিবারে মা সাইদা মৌহ মানুষের বাড়ি পরিষ্কার করে ছেলে হাকিমি, নাবিল ও মেয়ে উইদাদের জন্য অর্থ উপার্জন করতেন। বাবা হাসান হাকিমি ছিলেন হকার। হাকিমির এই হাকিমি হয়ে ওঠার গল্পের নায়ক তাঁর মা-বাবা, যেখানে হাকিমি স্পেনের হয়ে না খেলে প্রতিনিধিত্ব করছেন মরক্কোর হয়ে।
মরক্কোর জার্সিতে হাকিমি ৬০ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল এবং ৮ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন। বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে কোনো গোল করতে না পারলেও ১ গোলে অ্যাসিস্ট করেছেন মরক্কোর এই রাইট ব্যাক।